নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার গঠনের জন্য শেষ চেষ্টা করছিল এনসিপি। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শরদ পাওয়ার। পাশাপাশি দিল্লিতেও বৈঠকে বসেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারি। সরকারিভাবে ঘোষণাই শুধু বাকি। এমনটাই খবর সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বিরল ঘটনা'! বাণিজ্য বনাম অর্থ, আদালতে যুযুধান মোদী সরকারের দুই মন্ত্রক


মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রুদ্ধশ্বাস নাটক চলছে। কয়েকদিন ধরেই এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থনের আশা করে বসে ছিল শিবসেনা। কিন্তু সোমবার শেষপর্যন্ত এনসিপিকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান রাজ্যপাল। ফলে সরকার গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে তারা। মঙ্গলবার সাত সাড়ে আটটার মধ্যে তাদের সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে। এর মধ্যেই এই ঘোষণা। সূত্রের খবর, রাজ্যে কোনও দলেরই সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখছেন না রাজ্যপাল।


সোমবার সন্ধেয় রাজ্যপাল কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধবপুত্র আদিত্য ঠাকরে। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস রয়েছি কিনা তার চিঠি দেখাতে পারেননি আদিত্য। তখনই এনসিপিকে ডাকেন রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন-ঘোলা থানার কাছেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী


কংগ্রেস আদৌ শিবসেনা-এনসিপিকে সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সরকার গঠনের প্রশ্নে আগেই শিবসেনার সঙ্গে থাকা নিয়ে কোনও ইতিবাচক সাড়া দেননি সোনিয়া গান্ধী। গত রবিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসেন শরদ পাওয়ার। আদর্শগতভাবে বিপরীত মেরুর শিবসেনাকে সমর্থন করলে তা কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করবে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।



এর মধ্যেই এনসিপি শর্ত দিয়ে বসে সমর্থন পেতে গেলে এনডিএর সঙ্গ ছাড়তে হবে শিবসেনাকে। সেই মতো মোদী মন্ত্রিসভার তাদের একমাত্র সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্তকে পদত্যাগ করতে বলে দল। সেইমতো তিনি পদত্যাগও করেন। তার পরও সমর্থন দেওয়ার ব্যাপরে ঘাড় কাত করেনি এনসিপি। ফলে বল চলে যেতে থাকে রাজ্যপালের কোর্টে। আজ সন্ধের পরই সম্ভবত রাষ্ট্রপতি শাসনের ঘোষণা হতে পারে মহারাষ্ট্রে।