মানিক না হিরে? কী বাছবেন ত্রিপুরাবাসী? অপেক্ষা ইভিএম খোলার
উত্তর-পূর্বে গেরুয়া উত্থান?
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর-পূর্বে কি গেরুয়া দাপট আরও বাড়বে? নাকি হোঁচট খাবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। শনিবার ইভিএম খুললেই স্পষ্ট হবে জনাদেশ।
ত্রিপুরায় এবারই বিজেপির কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন মানিক সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত ২০টি আসনই ফারাক গড়ে দেবে। সেখানে বিজেপি ভাল ফল করলেই 'চলো পাল্টাই' বাস্তব রূপ পাবে। আবার বামেরা আসনগুলি ছিনিয়ে নিলে ফল উল্টে যাবে। অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বিজেপির দিকে পাল্লাভারীর আভাস দিয়েছে। তবে সমীক্ষা দিয়ে দিয়ে কিয়দংশ ভোটারের মত জানা যায় না। ত্রিপুরায় এবার রেকর্ড ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। ১০ বছর ধরে মেঘালয়ের ক্ষমতায় কংগ্রেস। সেই রাজ্যেই এবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার জোরাল হয়েছে। মেঘালয়ে ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। সেখানে ৪৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। এনপিপির সঙ্গে এরাজ্য বিজেপি জোটের কথা চালাচ্ছে। ফলপ্রকাশের পর জোট হতে পারে বলে জল্পনা।
নাগাল্যান্ডে আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দলে টেনে চমক দিয়েছে বিজেপি। সেখানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির সঙ্গে জোট বিজেপির। ৪০টি আসনে লড়াই করছে এনডিপিপি। ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এরাজ্যেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড- ৩টি ছোট রাজ্যের নির্বাচন হলেও তার রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। ত্রিপুরায় বামদুর্গের পতন হলে জাতীয় রাজনীতিতে আরও কোণঠাসা হবে বামেরা। আর মেঘালয় কংগ্রেসের হাতছাড়া হলে ফের একবার রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে উঠবে প্রশ্ন। নাগাল্যান্ডেও বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিরোধীদের শিরঃপীড়া নিঃসন্দেহে আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে গোটা দেশেরই নজর ৩ রাজ্যের জনাদেশে।