জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গি হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জওয়ান। তার ঠিক ১২ দিন পর সীমান্তপারের জঙ্গি শিবিরে অপারেশন চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতের মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটগুলি বোমা বর্ষণ করে বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে। বালাকোট স্ট্রাইকের পরদিনই ভারতের একটি ফাইটার জেটকে গুলি করে নামায় পাক বায়ু সেনা। তাদের হাতে বন্দি হন ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার পরেই শুরু হয় দুদেশের মধ্যে টানাপোড়েন। তৈরি হয়ে যায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। কীভাবে সেই পরিস্থিতি ভারত সামাল দিয়েছিল ও অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়িয়ে আনতে ভারত কী পদক্ষেপ করেছিল তা তাঁর বইতে লিখেছেন পাকিস্তানে তথ্কালীন ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে 'গ্রেফতার' এই গাছ, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন


প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়ার লেখা বই 'অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট: দ্যা ট্রাবলড ডিপ্লমেটিক রিলেশন বিট্যুইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান' শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে। সেখানেই লেখা হয়েছে অভিনন্দন বর্তমানকে বন্দি করার দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে যে দিন ছেড়ে দেওয়া হয় সেই ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কী পরিমাণ উত্তেজনা ছিল দুদেশের মধ্যে। অভিনন্দনকে নিয়ে সংঘাতে পাকিস্তানের দিকে ৯টি মিসাইল তাক করেছিল ভারত। এতেই পাক সেনা ও সরকারের ঘাম ছুটে য়ায়। তাতেই রাতারাতি বদলে যায় দুদেশের মধ্যেকার পরিস্থিতি।


অজয় বিসারিয়া তাঁর বইতে লিখেছেন, ওই মিসাইল মোতায়েনের আতঙ্কেই মধ্যরাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পাক সরকার। রাতে তাঁর বাসভবনে ছুটে আসে পাক সরকারের প্রতিনিধি। টানা কথা হয় কীভাবে দুদেশের মধ্যেকার উত্তেজনা প্রশমন করা যায়। অনুরোধ করা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করতে।


পাকিস্তানে নিযুক্ত তত্কালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনবার সোহেল মাহমুদ আমাকে ফোন করেন। তিনি জানান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই কথা শুনে দিল্লির সঙ্গে কথা বলে যোগাযোগ করেন মাহমুদের সঙ্গে। জানিয়ে দেন রাতে মোদীকে পাওয়া যাবে না। তবে শেষপর্যন্ত কথাবার্তার মধ্যেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান ঘোষণা করে উত্তেজনা কমাতেই অভিনন্দকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। তবে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম সেসময় সাফ জানিয়েছিল, দিল্লির চাপেই অভিনন্দনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)