জ্যোর্তিময় কর্মকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বড় হয়েছে দল। অশোক রোডের ছোট দফতরের বদলে এখন প্রাসাদের মত বড় অফিস দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে। দুঃখ একটাই। সেই অফিস নিজের চোখে দেখা হল না দলের রূপকারের। কফিন বন্দি হয়েই  দলের নতুন সদর দফতরে এলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। 


ইতিহাসের অশোক রোড 


অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তখন পার্টি অফিস মানে ১১ নম্বর অশোক রোড। এখানেই তাঁর হাত ধরে  দলের আরও বড় হয়ে ওঠা। শুক্রবার সেই অফিসে দলের একটি অর্ধনমিত পতাকা ছাড়া আর কিছু নেই।  রয়ে গেছে কিছু স্মৃতি। একটি কুড়ির পূর্ণ বিকশিত পদ্ম হয়ে  ওঠার ইতিহাস। 


বড় হয়েছে পার্টি অফিস 


অশোক রোডের ছোট্ট দফতরের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিজেপি এখন অনেক বড় হয়েছে।  ত্রিপুরা থেকে গুজরাট- সেই দলের বিস্তৃতি। সংগঠনের চাহিদা মেনে মোদী, অমিত শাহদের জমানায় বড় হয়েছে পার্টি অফিস। 
দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে কর্পোরেট অফিসের মতো সেই দফতর। সব থাকলেও এই অফিসে তিনি ছিলেন না।


চলতি বছরের শুরুতে যখন এই দফতরে দলের কাজ  শুরু হয় ততদিনে তিনি রাজনীতি থেকে অনেক অনেক দূরে। অসুস্থ বাজপেয়ী তখন কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাড়ি ছেড়ে বের হতেই পারেন না। 


অবশেষে নতুন পার্টি অফিসে 
 


অবশেষে নতুন পার্টি অফিসে এলেন বাজপেয়ী। চোখের জলে উপছে পড়ল ভিড়,  শেষ যাত্রায় এই দফতরেই শায়িত রইল তাঁর দেহ। ফুলে মালায় স্মৃতিতে শেষ বারের মতো তাঁকে পেতে । হাজার ক্যামেরা, আর লক্ষ কোটি চোখ যখন দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে।


একলা অশোক রোড


দীনদয়াল মার্গের বড় অফিসে লোকারণ্য, তখন বাজপেয়ীর স্মৃতি নিয়ে শুনশান পড়ে রইল ১১ নম্বর অশোক রোড। খোলা হল না  দরজাও। ফাঁকা বাড়ি জুড়ে রয়ে গেল শুধুই স্মৃতি।


আরও পড়ুন- পদ্মের কাঁটা সরালেও ইলিশের কাঁটা বাছতে হিমশিম খেয়েছিলেন অটল