নিজস্ব প্রতিবেদন: সপা-বসপা বন্ধুত্বের ধাক্কায় সদ্য উত্তরপ্রদেশের দুটি উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখেছে বিজেপি। তার মধ্যে গোরক্ষপুর তো খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী কেন্দ্র। সেই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে কি মায়াবতীকে এনডিএ জোটে সামিল করতে চাইছেন মোদী-শাহ? তেমন প্রশ্ন উঠল বিজেপির শরিক দল আরপিআই-এর সভাপতি রামদাস আটাওয়ালের প্রস্তাবে। মায়াবতীকে এনডিএ-তে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন আটাওয়ালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বদায়ুঁর সভায় আটাওয়ালে বলেন, ''দলিতদের জন্য কাজ করছি আমরা। আমার দলকে (আরপিআই) নেতৃত্ব দিন মায়াবতী। এনডিএ-তে যোগদান করুন তিনি। দলিত উন্নতির কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মন্ত্রিত্ব নিন মায়াবতী।'' সপা-বসপার জোটকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে রামদাস আটাওয়ালে বলেন, ''দলিতদের লড়াইয়ে এসপির সঙ্গে সপার সঙ্গে মায়াবতীর যাওয়া উচিত হবে না। এনডিএ-তে যোগ দিয়ে দলিতদের এগিয়ে নিয়ে যান মায়াবতী।''


দিন কয়েক আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলিত বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছে রাজনীতির আখাড়া। মোদী সরকারকে দলিতবিরোধী বলে নিশানা করেছেন মায়াবতী। বিজেপির দলিত বিধায়করাও উলটো সুর গাইছেন। তবে আটাওয়ালে মনে করেন, ''মোদী সরকারের মতো আর কেউ দলিতদের জন্য ভাবেননি। সুপ্রিম কোর্টের তপশিলী জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত আইনে রায় পর্যালোচনার জন্যেও আবেদন করেছে কেন্দ্র।''


আরও পড়ুন- স্ত্রী অস্থাবর সম্পত্তি নয়, জোর করে রাখতে পারেন না স্বামী: সুপ্রিম কোর্ট


আটাওয়ালের মন্তব্য নেহাতই সাধারণ ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর পিছনে মোদী-শাহের হাত থাকতে পারে বলে মত অনেকেরই। রাজনৈতিক মহলের মতে, মায়াবতীকে পাশে পেতে আটাওয়ালেকে দূত হিসেবে প্রেরণ করতে পারে বিজেপি। কেন? সদ্য লখনৌ সফরে মায়াবতীকে এনডিএ-তে যোগদানের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন এই দলিত নেতা। তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও মন্তব্য করেন বসপা সুপ্রিমো। বলা রাখা ভাল, উত্তরপ্রদেশে তিনবার বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন মায়াবতী। তবে তিনবারই তিক্ত অভিজ্ঞতা। মাঝপথেই ভেঙেছে জোট। 


আরও পড়়ুন- আইপিএল বন্ধের দাবি, রাজ্যের স্বার্থে একমঞ্চে তামিল তারকারা


রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে মায়াবতীকে দলে টানলে এক ঢিলে দুই পাখি মারবেন মোদী-শাহ। প্রথমত, বিরোধী জোটে ভাঙন ধরবে। সপা-বসপা জোট হলে উত্তরপ্রদেশে অনেক আসনেই চাপে পড়ে যাবে গেরুয়া শিবির। সেই পরিস্থিতির মুখে আর পড়তে হবে না। দ্বিতীয়ত, দলিত বিক্ষোভের জেরে ঘরে-বাইরে কোণঠাসা মোদী সরকার। মায়াবতীর মতো দলিতমুখকে পাশে পেলে লাভবান হবে বিজেপি। আর সপা সুপ্রিমোকে দলে টানতে টোপ, কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব।


আরও পড়ুন- ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক, যোগীর বাড়ির বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা নির্যাতিতার