Aviation Trivia : গর্বের ৭৫! সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মহিলা পাইলট ভারতেই
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লোকসভায় বক্তৃতার সময় জানান, দেশের মোট পাইলট শক্তির ১৫ শতাংশ মহিলা। সিন্ধিয়া জানান, `বিশ্বের অন্য সব দেশে মাত্র ৫ শতাংশ পাইলট মহিলা। ভারতে, ১৫ শতাংশেরও বেশি পাইলট মহিলা যা নারী ক্ষমতায়নের অন্যতম নিদর্শন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মঞ্চ, কিংবা শিল্প থেকে আকাশে প্লেন (Plane) ওড়ানো, কোথাওই ভারতীয় নারীরা (Indian women) পিছিয়ে নেই। পাল্টেছে সময়, মানুষের মানসিকতা। আজ সর্বত্র ভারতীয় নারীদের বিরাজমান। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বকে দিশা দেখাচ্ছে ভারতীয় মহিলা পাইলটরা (Pilot)। ভারতে মহিলা পাইলটের সংখ্যা, সমগ্র বিশ্বেকে অনেক বেশি নম্বরে টেক্কা দিচ্ছে। ২০১৫ সালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে ১ লক্ষ ৩০ হাজার পাইলট ছিল যাদের মধ্যে মাত্র ৪০০০ মহিলা পাইলট।অর্থাৎ মাত্র ৩ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু ভারতের পরিসংখ্যান অন্য হিসেব দেখায়। ২০১৫ সাল অনুযায়ী ভারতে ৫০০০ পাইলটের মধ্যে ৬০০ জন মহিলা পাইলট। অর্থাৎ দেশের প্রায় ১২ শতাংশই মহিলা পাইলট যে সংখ্যাটা আজকের দিনে এসে আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: Himba Tribe: এই জনগোষ্ঠীর মহিলারা সারা জীবনে মাত্র একবার স্নান করেন!
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লোকসভায় বক্তৃতার সময় জানান, দেশের মোট পাইলট শক্তির ১৫ শতাংশ মহিলা। সিন্ধিয়া জানান, 'বিশ্বের অন্য সব দেশে মাত্র ৫ শতাংশ পাইলট মহিলা। ভারতে, ১৫ শতাংশেরও বেশি পাইলট মহিলা যা নারী ক্ষমতায়নের অন্যতম নিদর্শন। বিগত ২০-২৫ বছরে বিমান শিল্পে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।' অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ সহ বিশ্বের অন্য যে কোনও প্রগতিশীল দেশের তুলনায় ভারতে মহিলা পাইলটের অনুপাত সর্বোচ্চ। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ উইমেন এয়ারলাইন পাইলটস ২০২০-এর তথ্য অনুসারে অন্যান্য সব দেশের তুলনায় ভারত শীর্ষে আছে। এরপরেই আছেই আয়ারল্যান্ড ৯.৯ শতাংশ মহিলা পাইলট নিয়ে দ্বিতীয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ৯.৮ শতাংশ মহিলা পাইলট নিয়ে তৃতীয় এবং কানাডা ৬.৯ শতাংশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে।অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে যথাক্রমে মাত্র ৫.৪ এবং ৪.৭ শতাংশ মহিলা ফ্লাইট অফিসার রয়েছে।
হরপ্রীত, দেশের প্রথম মহিলা পাইলট যিনি ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক বিমান উড়িয়েছেন। তাঁর মতে আগের থেকে সমাজ অনেক বেশি প্রগতিশীল। অভিভাবক,পরিবার অনেক বেশি সাপোর্টিভ হয়েছে। ফলে মহিলা পাইলটের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে। বর্তমানে অসামরিক বিমান চলাচল শিল্প ভারতের অর্থনীতির একটি মূল উপাদান হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে সিন্ধিয়া জানান, সরকার ৩৩টি ডোমেস্টিক কার্গো টার্মিনাল, পাইলটদের জন্য ১৫টি নতুন ফ্লাইট প্রশিক্ষণ স্কুল তৈরি করার পাশাপাশি চাকরি ও ড্রোন সেক্টরে ফোকাস বাড়াবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে ২২০টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি করা।