নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যার  বিতর্কিত জমি শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হোক হিন্দুদের। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৩-৪ মাসের মধ্যে তৈরি করতে হবে ট্রাস্ট। তারাই বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের জন্য রূপরেখা তৈরি করবে। অযোধ্যাতেই মসজিদের জন্য  মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হবে ৫ একর বিকল্প জমি।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্ট এদিন রায়ে জানায়, জমির স্বত্ত্ব ধর্মীয় ভাবনার ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে না। হিন্দুরা ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বাস করে, অযোধ্যা রামের জন্মভূমি। ব্রিটিশরা আসার আগে রাম চবুতরা, সীতা রসোইয়ে পুজো হতো। বিতর্কিত জমির বাইরের অংশের মালিকানা হিন্দুদের ছিল, তার প্রামাণ্য দলিল রয়েছে। মসজিদটি মুসলিমরাও ছাড়েননি। রাম চবুতরায় পুজো করত হিন্দুরা। গর্ভগৃহের মালিকানাও তাদের ছিল বলে দাবি করেছে তারা। মসজিদের মধ্যে নমাজ পড়ত মুসলিমরা। বাইরে পুজো করত হিন্দুরা। তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।    


সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে কাঠামো ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল তা মসজিদ নয়। সেটা মন্দির ছিল তাও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। বাবরি মসজিদ খালি জায়গায় ওপর তৈরি হয়নি। জমির মালিকানার পক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা আইনবিরুদ্ধ কাজ বলেও মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। 



ভারতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যা জমি মামলার রায়। এক শতাব্দীর পুরনো মামলা অযোধ্যা। চূড়ান্ত পর্বে টানা ৪০ দিন ধরে চলেছে শুনানি। দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে চলেছে জোরালো সওয়াল। অযোধ্যা জমি মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য, জানুয়ারি মাসে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এসএ বোবদে এবং এস আবদুল নাজির। ৪০ দিন টানা শুনানির শেষে, গত ১৬ই অক্টোবর রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত। শুনানির শেষ দিনে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, জমির দাবি ছেড়ে দিতে রাজি বলে খবর ছড়ায়। যদিও আদালতের নির্দেশে শুনানির পর তারা নির্দিষ্টভাবে বিতর্কিত জমিতে মসজিদ তৈরির দাবি জানায়। হিন্দু মহাসভা রাম মন্দির নির্মাণ-সহ পুরো জমিটিই দাবি করে। আর নির্মোহী আখাড়া আর্জি জানায় হিন্দুদের অন্য পক্ষের হাতে জমির অধিকার গেলেও পুজো করার অধিকার তাদেরই দিতে হবে। 


আরও পড়ুন- অযোধ্যার রায়ে অসন্তোষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবীর, পরবর্তী পদক্ষেপের ভাবনা