নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যায় রাম মন্দির ও বিজেপি হয়ে উঠেছে সমার্থক। বিরোধীরাও খোঁচা দিয়ে বলে থাকেন, অযোধ্যার রাম হয়ে উঠেছেন বিজেপির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। রাম ও বিজেপিকে সমার্থকে পরিণত করে ফেলার মূল কারিগর হলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে মূলধারার রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আডবাণীকে। নয়ের দশকে সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু করেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। আর সেই রথযাত্রায় তাঁর সারথী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের দিন বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া এল বিজেপির লৌহপুরুষের। তাঁর প্রতিক্রিয়া, দেশবাসীর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অতীতচারণা করে লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেন,''আজ স্বপ্নপূরণ হয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের গণআন্দোলনে আমাকেও অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ঈশ্বর। স্বাধীনতা পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় আন্দোলন। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে তা সার্থক হল।'' 




১৯৯০ সালে ভিপি সিংয়ের সরকার পিছড়ে বর্গের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করে। ওই ঘোষণার পর হিন্দু ভোটে বিভাজনের আশঙ্কা করে বিজেপি। এরপরই রাম মন্দিরের দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর গুজরাটের সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু করেন আডবাণী। সেই রথযাত্রাই গোটা দেশে স্বাধীনতার পর উস্কে দিয়েছিল হিন্দুত্বের আবেগ। ২৩ অক্টোবর বিহারের সমস্তিপুরে আডবাণীর রথ আটকে দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। প্রতিবাদে ভিপি সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে দেয় ৮৪ সাংসদের দল বিজেপি। নিশ্চিত হয় ১১ মাসের সরকারের পতন।



ভারতীয় রাজনীতিতে ঢুকে পড়ে হিন্দুত্ব। তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী ও বালাসাহেব ঠাকরের মতো হিন্দুত্বের মুখ। আর বিজেপির অন্দরে উদারচেতা মুখ হয়ে উঠলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। হিন্দুত্ব ও বাজপেয়ীর বিকাশমন্ত্র- জোড়া কৌশলে গোবলয়ে জাঁকিয়ে বসল ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই আবেগেই আজ লোকসভায় একক কৃতিত্বেই সংখ্যাগুরু মোদী সরকার। 


আরও পড়ুন- ইতিহাসে আজ সোনালি অধ্যায়, নতুন ভারতে ভয়,তিক্ততা ও নেতিবাচক ভাবনার ঠাঁই নেই: মোদী