নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন ভারতে ভয়, নেতিবাচক ভাবনা ও তিক্ততার ঠাঁই নেই। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ভারতের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে আজকের দিনটা সোনালি অধ্যায়। অযোধ্যার শুনানিতে সকল পক্ষের মত সময় নিয়ে শুনেছে আদালত। খুশির কথা সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী বলেন,''গোটা দুনিয়া জানে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু আজ দুনিয়া দেখল ভারতের গণতন্ত্র কতটা প্রাণবন্ত ও মজবুত। সুপ্রিম কোর্টের ফয়সলাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রতিটি শ্রেণি ও ধর্মের মানুষ। এটাই ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সদ্ভাবের প্রতিবিম্ব।'' প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, নতুন ভারতে ভয়, নেতিবাচক ভাবনা ও তিক্ততার ঠাঁই নেই।     



আজ, ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক দিন আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বার্লিনের প্রাচীর আজ ভেঙেছিল। ভারত-পাকিস্তানের উদ্যোগে খুলে গেল করতারপুর করিডর। একইসঙ্গে এল অযোধ্যা রায়। এবার একজোট হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। 



রায় বেরোনোর পর এদিন টুইটারে প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছিলেন, ''অযোধ্যা নিয়ে রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কারও হার-জিত হিসেবে ফয়সলা দেখা উচিত নয়। রামভক্তি বা রহিমভক্তি নয়, এখন ভারতভক্তির ভাবনায় দেশকে শক্তিশালী করার সময়। দেশবাসীকে আবেদন, আপনারা শান্তি, সদ্ভাব ও ঐক্য ধরে রাখুন।




মোদী আরও লেখেন, সব পক্ষকেই প্রামাণ্য দলিল পেশ করার পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কয়েক দশক পুরনো মামলার সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান করেছে ন্যায়ের মন্দির। আইনি প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আরও মজবুত করবে।  




রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র রণবীর সুরজেওয়ালা বলেন, ''ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণের পক্ষে কংগ্রেস। রায়ের ফলে মন্দির তৈরির দরজা খুলে গেল। শুধু তাই নয়, বিজেপির রাজনীতিও বন্ধ হয়ে গেল।''  


আরও পড়ুন- অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড