নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বভাবের আর পরিবর্তন হল না! লোকসভায় অধ্যক্ষের চেয়ারে আসীন বিজেপি সাংসদ রাম দেবীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করলেন আজম খান। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি প্রার্থী জয়াপ্রদাকে নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। লোকসভার অধিবেশন মহিলা সাংসদকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠতেই আজম খান দাবি করেন, রমা দেবীকে তাঁর ছোট বোনের মতো দেখেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী ঘটেছে? 


স্পিকারের চেয়ারে বসেছিলেন বিজেপি সাংসদ রমা দেবী। ঠিক তখনই আজম খান বলেন,'আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে। ইচ্ছা হয়, আপনার চোখে চোখ রাখি'। এরপরই ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে শোরগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন,'ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত'।


ঘটনার সূত্রপাত আজমের একটি উর্দু কবিতা পাঠ নিয়ে। সপা সাংসদ বলেন,'তু ইধর-উধর কি ন বাত করস, এ বতা কৈ এ কাফিলা কিঁউ লুটা?' স্পিকারের চেয়ারে আসীন রমা দেবী তখন বলেন, আপনিও এদিকে তাকিয়ে কথা বলুন। তখনই আপত্তিকর মন্তব্যটি করে বসেন আজম। সমালোচনায় মুখে আজম বলেন, 'রাম দেবী আমার ছোট বোনের মতো। এমনটা বলতে চাইনি'। 


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল দাবি করেন, আপত্তিকর শব্দ প্রত্যাহার করুন আজম খান। আর এক মন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ মন্তব্য করেন, একজন মহিলার অপমান করেছেন। ক্ষমা চাইতে হবে আজম খানকে। 



আজমকে বাঁচাতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অখিলেশ যাদব। বলেন, 'রমা দেবীকে অসম্মান করার ইচ্ছা ছিল না আজম খানের। কিন্তু এরা (শাসক দলের সাংসদ) একেবারে বদমাশ'। স্পিকার ওম বিড়লা তখন বলেন, 'সভার আলোচনা থেকে এই শব্দটা বাদ, ওটা বাদ দিন, এমনটা বলা সহজ। কিন্তু প্রকাশ্যে তো বলেই ফেলেছেন। সংসদের মর্যাদা বজায় রাখা উচিত সকলের'।       




এর আগে বিজেপি প্রার্থী জয়াপ্রদাকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন আজম খান। নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, জয়াপ্রদা খাকি অন্তর্বাস পরেন। 


আরও পড়ুন- রাজনৈতিক দলগুলিকে ভোটের খরচ জোগাক ভারত সরকার, মোদীকে চিঠি মমতার