ওয়েব ডেস্ক: বাবরি কাণ্ডে যৌথ বিচার বিভাগীয় তদন্তের ইঙ্গিত দিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এখনই কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত না হলেও বাবরি কাণ্ড নিয়ে যে ফের আরও একবার উত্তাল হতে চলেছে দেশ, তেমনই একটা ইঙ্গিত মিলল আজ। পুনর্জীবিত হতে চলেছে বাবরি মসজিদ কাণ্ড মামলা।  লখনউ এবং রায় বরেলি, বাবরি মসজিদ কাণ্ডে এই দুই মামলাকেই পুনর্জীবিত হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ২২ মার্চ, ২০১৭ এই দুই মামলাকে পুনর্জীবিত করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সুপ্রিম কোর্ট। বাবরি কাণ্ডের দগ দগে ঘায়ে উত্তাপের আঁচ লাগতেই ব্যাকফুটে বিজেপির তিন শীর্ষ স্থানীয় নেতা যাদের মধ্যে একজন এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলায় চার্জশিটে নাম থাকতে পারে বিজেপির 'লৌহপুরুষ' লালকৃষ্ণ আডবাণী, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশী এবং কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

"টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে  লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ছেড়ে দেওয়া হোক, এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। যেটার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হোক এবং সেখানে অবশ্যই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের বিষয়টি রাখা হোক। আমরা ট্রায়াল কোর্টের কাছে বিষয়টি রাখব এবং যৌথ তদন্তের বিষয়টি উল্লেখ করব", কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে এমনটাই জানায় সুপ্রিম কোর্ট।     


রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে বাবরি মামলা হঠাৎ মাথাচাড়া দিতেই সুপ্ত বারুদে যেন মৃদু আগুনস্পর্শ হয়ে গেল। উত্তরপ্রদেশ ভোটে ইতিমধ্যেই 'জীবন বাজি' রেখেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই সময়েই দিন চারেকের মধ্যে তিনবার রোড শো করে 'প্রেস্টিজ ফাইটে' সমাজবাদী এবং কংগ্রেসকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের 'দত্তক পুত্র' নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদী। গোটা ইউপিতে প্রচারে যাতে কোনও কমতি না থাকে সেদিকে বিশেষ নজরদারি রয়েছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহে্‌রও। বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন ভূমিপুত্র তথা জোটের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। কংগ্রেস থেকে ময়দানে নেমেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এরই মধ্যে তিন তাবড় নেতৃত্বের নাম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামালায় জড়াতে পারে, এই আশঙ্কাই বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ২২ মার্চ। তবে সর্বোচ্চ আদালতের এই ইঙ্গিতকেই যে সমাজবাদী পার্টি-বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস সুকৌশলে ব্যবহার করবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ কোনও রাজনৈতিক মহলেই নেই।