জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করের মতোই বদলাপুরের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সকলকে। স্কুলের শৌচালয়ে অভিযুক্তের যৌন লালসার শিকার হতে হয় দুই শিশুকে। এমনকী এফআইআর নেওয়া হয় ১২ ঘণ্টা পরে। যার জেরে বদলাপুর স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। তবে এবার বদলাপুরের অভিযুক্ত শৌচকর্মী অক্ষয় শিন্ডের সম্বন্ধে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত স্ত্রীকেও অকথ্য অত্যাচার করত বলেই সূত্রের খবর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kolkata Doctor Rape-Murder Case: 'তিরিশ বছরের কর্মজীবনে এ জিনিস দেখিনি', সুপ্রিম তোপের মুখে রাজ্য


বদলাপুরে দুই শিশুর যৌন নিপীড়নের মামলার অভিযুক্তের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া সমস্যা ছিল। সে চলে যাওরার পর চার মাস আগে তার আবার বিয়ে করে অক্ষয়। ২৩ বছরের অক্ষয় শিন্ডে গত ১ অগস্ট ওই সাফাইকর্মীকে স্কুলের কাজে নিয়োগ করা হয়। এরপরই ১৩ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটে ছাত্রীদের শৌচালয়ে ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে উঠে এসেছে, ছাত্রীদের শৌচালয়ে কোনো মহিলা অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন না। 


অক্ষয়ের এক প্রতিবেশি বলেন, মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত অভিযুক্ত। চার মাস আগে সে আবার বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রী অনেকদিন ধরেই বাড়িতে ছিল না। প্রথম স্ত্রী তার খারাপ অভ্যাস এবং অত্যাচারের কারণেই তাকে ছেড়ে চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তির কথায়, প্রায় চার মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। তার প্রথম স্ত্রী তার অভ্যাস এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে ছেড়ে চলে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীকেও গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় দেখা যায়নি। 


এমনকী এই পুরো ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক এবং লজ্জিত। কেউ কল্পনাও করেনি যে আমাদের মধ্যে এমন একটি দানব বাস করছে। তিনি দাবি করেন যে অক্ষয় শিন্ডে গত পাঁচ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছিল। শিন্ডের পরিবার কর্ণাটকের গুলবার্গা জেলার বাসিন্দা। সে তার বাবা-মা এবং ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খারওয়াই গ্রামের একটি বস্তিতে থাকত। সেখানে নাকি কিছু লোক তার বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।


শিন্ডের পরিবারের সদস্যদেরও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে এবং তাদের গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন অক্ষয় এবং যে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার আগে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছে। যদিও বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাবা-মা দাবি করেছেন যে তাদের ছেলে নির্দোষ এবং তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাবা-মা একটি মারাঠি নিউজ চ্যানেলকে বলে,তাদের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।


“আমাদের ছেলে গত ১৫ দিন ধরে কাজ করছিল। প্রতিদিন সকাল ১১টার মধ্যে স্কুলে যেতেন বাথরুম পরিষ্কার করতে। তারপরে তিনি একই কাজের জন্য অন্য জায়গায় যেত বলেই দাবি অভিযুক্তের মায়ের। স্কুলে কর্মরত একজন মহিলা আমাকে ঘটনাটি বলে এবং জানায় আমার ছেলেকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার কথা হচ্ছে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি পুলিস তাকে মারধর করছে। তারা আমার ছোট ছেলেকেও মারধর করে। 



আরও পড়ুন, Pune Minor Rape Cse: ধর্ষিত বছর ১৩-র মেয়ে, জোর করে মদ খাইয়ে ভিডিয়ো রেকর্ড বন্ধুদের!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)