ওয়েব ডেস্ক: মোবাইল ইন্টারনেট ব্যান কি বাক্‌ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ? সুপ্রিম কোর্ট বলছে, না। রাষ্ট্রের আইনের স্বার্থে যদি কোনও সরকার কোনও নির্দিষ্ট কারণে কিছু স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে, তবে তা কখনই সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় সংবিধানের ১৯-(১) এ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক বাক্‌ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এমনকি এই অধিকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। Universal Declaration of UN-১৯ ধারায় বিশ্ব নাগরিকত্বকে প্রাধান্য দিয়ে বাক্‌ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মানুষ তাঁর মতামতকে লিখিত ও বক্তব্যের আকারে বলতে পারেন ও তা জনসমক্ষে জানাতেও পারেন।


কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইন জড়িয়ে তাই, কিছু জায়গায় রাষ্ট্র বড় স্বার্থে ব্যাক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে সাংবিধানিক ভাষায় একে বলা Reasonable Restriction


গুজরাটে এক ছাত্র সুপ্রিম কোর্টে গুজরাটের সরকারে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যানের বিপক্ষে আবেদন জানিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাটে হার্দিক প্যাটেলের আন্দোলনে কিছুটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহের নানান ছবি, পোস্ট। যার কারণে গুজরাটের কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যান করে দেয় সেখানকার বিজেপি সরকার। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের কাছে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যানের বিপক্ষে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ছাত্র। শুক্রবার তা খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, "রাষ্ট্র আইনের জন্য এমনটা করতেই পারে, এটা প্রয়োজনও"।