নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবারের বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুধুই রবীন্দ্র ভাবনায় আটকে থাকল না। এ দিন  ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখে যেমন তাঁর ২০২২ মিশন প্রসঙ্গ উঠে এল, তেমনিই বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের করুণ অবস্থার কথা শোনালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে শেখ হাসিনা ভারতের সাহায্যও চাইলেন বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন মঞ্চে দাঁড়িয়ে। এ দিন হাসিনা বলেন, “১১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি আমরা।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান মঞ্চে মোদী-হাসিনা-মমতা


২০১৭-র অগস্টে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে উত্খাত হয়ে রোহিঙ্গা জনজাতির অধিকাংশই আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। শরণার্থীদের বাসস্থানের পাশাপাশি, তাদের খাদ্য, চিকিত্সার বন্দোবস্তো করে হাসিনা সরকার। দেশের অর্থনীতি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে শেখ হাসিনার সমালোচনাও করা হয় বিভিন্ন মহলে। তবে, মানবিক দিক বিচার করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বারবার এমনটাই  দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এদিন হাসিনা বলেন, “আমার ছোটো বোন রেহানা যখন আমাকে বলল ১৬ কোটি মানুষকে তুমি ভাত খাওয়াও, আর ৫-৭ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবে না।” আবেগঘন কন্ঠে মুজিবর কন্যা জানান “নিজেদের খাদ্য ভাগ করে ওদের খাওয়াবো।”


আরও পড়ুন- কৌশলে এড়ালেন তিস্তা-প্রসঙ্গ, ভারতের প্রতি কেবলই কৃতজ্ঞতার সুর হাসিনার গলায়



ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে শেখ হাসিনা আর্জি করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে চাপ সৃষ্টি করার দরকার মায়ানমারের উপর। এর জন্য ভারতকেও পাশে চেয়েছেন হাসিনা। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর সব ধরনের বন্দোবস্তো শুরু করেছে মায়ানমার সরকার। তবে, ভয়াবহ স্মৃতি এখনও তাড়া করছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। অনেকেই আর ফিরতে চাইছেন না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের থেকে ঘরে ফেরানো এখন আরও কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে হাসিনা সরকারের কাছে।


আরও পড়ুন-  বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে মোদীর কণ্ঠে আবেগ, ক্ষমা চাইলেন ছাত্রছাত্রীদের কাছে