নগদের অভাবে কাশ্মীরে পরের পর ব্যাঙ্ক লুঠ জঙ্গিদের
মুজাহিদ এখন লুঠেরা। কাশ্মীরে নগদের অভাবে একের পর এক ব্যাঙ্ক লুঠ করছে জঙ্গিরা। অস্ত্রের জন্য হামলা চালানো হচ্ছে পুলিস ফাঁড়িগুলিতে।
ওয়েব ডেস্ক: মুজাহিদ এখন লুঠেরা। কাশ্মীরে নগদের অভাবে একের পর এক ব্যাঙ্ক লুঠ করছে জঙ্গিরা। অস্ত্রের জন্য হামলা চালানো হচ্ছে পুলিস ফাঁড়িগুলিতে।
নোটবাতিলের মাধ্যমে অর্থনীতিকে জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এক ঘোষণায় তোলপাড় হয়ে যায় আসমুদ্র হিমাচল। সন্ত্রাসের শিকড়েও পড়ে কুঠারের কোপ। নোট বাতিলের পরে রাতারাতি কাশ্মীরে সেনার ওপর পাথর ছোড়া বন্ধ হয়ে যায়। 'টাকা দিয়ে পাথর ছোড়ানো হয়', সেনার এই অভিযোগও নোটবাতিলের পরও প্রমাণ হয়ে যায়। নোটবাতিল সন্ত্রাসের গোড়ায় আঘাত হেনেছে। বিজেপির এই দাবির যৌক্তিকতাও খুঁজে পান অনেকেই। তবে সন্ত্রাসও চুপ করে বসে ছিল না।
এই বছরে যেসব জঙ্গি কাশ্মীরে খতম হয়েছে বা ধরা পড়েছে, সকলের কাছেই মিলেছে নতুন নোট। নোট বাতিলের পর এত তাড়াতাড়ি জঙ্গিদের কাছে নতুন নোট পৌছল কী করে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, টাকা এবং অস্ত্রের অভাবে কাশ্মীরের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি ধুঁকছে। তাই মরিয়া হয়ে লুঠপাটের পথ নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার থেকে উপত্যকায় একাধিক ব্যাঙ্কে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ইয়ারিপোরার ইলাক্রি দেহাতি ব্যাঙ্কে হামলা চালিয়ে ৬৫ হাজার টাকা লুঠ হয়েছে, খুন হন নিরাপত্তা কর্মী।
বুধবার কাকাপোরার একটি ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ করা হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা।
বুধবারই ওয়াহিবাগের ইলাক্রি দেহাতি ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা।
নোট বাতিলের পর থেকে উপত্যকায় ১২টিরও বেশি ব্যাঙ্ক লুঠ করা হয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনাই প্রমাণ করছে, নগদের সঙ্কটে ভুগছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। অস্ত্রের অভাবও রয়েছে তাদের। সোমবার কুলগাঁওয়ের JK ব্যাঙ্কে হামলা চালিয়েছে ৫ পুলিসকর্মীকে খুন করা হয়, লুঠ হয় অস্ত্র। বুধবার সোপিয়ানের পুলিস ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাই করা হয়। জঙ্গিদের কৌশল ধরতে পেরে পাল্টা তৈরি হচ্ছে প্রশাসনও।
কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৫০০ শাখা সক্রিয় রয়েছে। এলাকাভিত্তিকভাবে ব্যাঙ্কগুলিকে নিরাপদ, স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের নিরাপত্তায় জঙ্গিদমনে প্রশিক্ষিত আধাসেনা মোতায়েন শুরু হয়ে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জঙ্গিদমন একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর কোনও স্থায়ী সমাধান হয় না। সেনাকে ভোঁতা করতে বারবার কৌশল বদলাবে জঙ্গিরা। সেনাকে তৈরি থাকতে হবে। (আরও পড়ুন- ফয়জাবাদ থেকে ধৃত সন্দেহভাজন ISI এজেন্ট)