নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬-র নভেম্বরে নোট বাতিলের ফলে দেশজুড়ে দেখা দিয়েছিল নগদের আকাল। যদিও, পরে ধীরে ধীরে ২০০০, ৫০০ ও ২০০ টাকার নোট বাজারে আসায় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি এখনও সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাদের আশঙ্কা, নতুন নোট বাজারে এলেও অল্প দিনের মধ্যেই টান পড়তে চলেছে ১০০ টাকার নোটের ভাঁড়ারে। কারণ, সেই নোটের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই পুরনো। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি ২০০৫ সালের নোটও রয়েছে। এই পুরনো নোটগুলিকে ধাপে ধাপে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলে সূত্রে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই দেশের ব্যাঙ্কগুলির তরফে আরবিআইয়ের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১০০ টাকার নোটের বরাদ্দ আরও বাড়ানো হয়। না-হলে ৫০০ টাকার নোটের ওপর চাপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন- ছাদনাতলায় রাহুল গান্ধী? হোয়াটসঅ্যাপে ভাসছে পাত্রীর নাম


নোট বাতিলের পর ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে ২০০০ টাকার নোটের পাশাপাশি ৫৫০ কোটি ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চাপ থাকায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে করা হয় ৫৭৩.৮ কোটি। তবে, ব্যাঙ্কের চাহিদা ছিল আরও ৪৪কোটি ১০০ টাকার নোটের। সেই অতিরিক্ত নোট তারা এখনই দিতে পারছে না বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।


অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের বিকল্প হিসাবে কাজ করছে ১০০ টাকার নোট। অল্প লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ভরসা শুধুমাত্র ১০০ টাকার নোটই। তাই ১০০ টাকা নোটের চাহিদার তুলনায় কম থাকায় 'নোট সঙ্কটে' পড়তে পারেন আমজনতা এমনটাই মনে করছে ব্যাঙ্কগুলি।