ওয়েব ডেস্ক: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি সত্ত্বেও কীভাবে এক বিএসএফ জওয়ানকে মেরে গেল জঙ্গিরা? কীভাবেই বা সেনার নজর এড়িয়ে পালাল বাকি জঙ্গিরা? বারামুলার জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে কাজে লাগিয়েছে জঙ্গিরা। তাই পাল্টা মারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়েছে সেনাকে। এমনটাই দাবি সেনার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বারামুলায় হামলাকারী পাকিস্তান জঙ্গিরাই। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে এসেছিল, নাকি আগে থেকেই এদিকে ছিল? মৃত দুই জঙ্গির জিনিসপত্র খুঁটিয়ে দেখে সেনা নিশ্চিত, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়েই এসেছিল জঙ্গিরা।


মৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে GPS ও কম্পাস। সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিরা পথ চিনতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তার কাটার যন্ত্র। জঙ্গিরা যে সীমান্তে কাটাতাঁর কেটে ঢুকেছে এই যন্ত্র তার প্রমাণ। তাছাড়া জঙ্গিদের কাছ থেকে AK-47 এর একটি খালি ম্যাগাজিনও উদ্ধার হয়েছে।


রবিবার রাতেই দুই জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। তাদের সঙ্গিসাথীরা লুকিয়ে থেকে পরে হামলা চালাতে পারে বলে অনুমান। পাকিস্তানি হানাদারদের খুঁজে খুঁজে মারতে চিরুনি তল্লাসি শুরু করে সেনাবাহিনী। সড়ক, জঙ্গল, আশপাশের এলাকা, এমনকি ঝিলাম নদীতেও কড়া নজরদারি চালায় সেনা।


পরে সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পালিয়ে গিয়েছে বাকি জঙ্গিরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।


কীভাবে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের?


সেনার নজর এড়িয়ে কীভাবেই বা পালাল জঙ্গিরা?


সেনার তরফে দাবি, ঘন অন্ধকারে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলে। বারামুলার ওই এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু জনবসতি। সাধারণ নাগরিকদের ঢাল করে সেনা শিবিরকে টার্গেট করে জঙ্গিরা। ফলে জঙ্গিদের পাল্টা দিতে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয় সেনাকে। আর এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়েই পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।


রবিবার গুজরাতের কাছে উপকূলরক্ষীদের হাতে নয় আরোহী সমেত এক পাক নৌকা আটক হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বারামুলায় হামলার পর জলপথে পাকিস্তানিদের গতিবিধি ফিরিয়ে এনেছে ২৬/১১-র স্মৃতি। তাই পুরো পশ্চিম উপকূল জুড়েই জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।