নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলের ভেতরেই খুন ২০১৫ সালে শিখ ধর্মগ্রন্থ অবমানায় মূল অভিযুক্ত। গন্ডগোলের আশঙ্কার কড়া সতর্কতা জারি করা হল রাজ্যজুড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ধর্মগ্রন্থ অবমাননায় মূল অভিযুক্ত মহিন্দর পাল বিট্টুর ওপরে হামলা চালায় জেলের অন্য দুই কয়েদি। ঘটনাটি ঘটে রাজ্যের হাই সিকিউরিটি কারাগার নাভা জেলে। হামলার পরই মহিন্দার পালকে নাভা সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকে। এই ঘটনায় গোলমালের আশঙ্কায় রাজ্যের সবকটি শহরের প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং।


আরও পড়ুন-বিপজ্জনক ভারত-চিন সীমান্তে টহলদারিতে মহিলা অফিসার, নজির সৃষ্টি করলেন ক্যাপ্টেন কল্পনা কুণ্ডু


পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে ফরিদকোটের বাসিন্দা মহিন্দর পালের ওপরে হামলা চালায় মহিন্দরের জেলসঙ্গী গুরুসেবক সিং ও মনিন্দর সিং। পুলিসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে হয়েছে, মহিন্দর ডেরা সচ্চা সৌদার একজন অনুগামী। জেলের ভেতরে নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখান থেকে রড তুলে এনে মাথায় মারা হয় মহিন্দরের।



ঘটনার তদন্তের আদেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। রাজ্যের কারামন্ত্রী সুখবিন্দর সিং জানিয়েছেন ঘটনার পর বরখাস্ত করা হয়েছে জেলের দুই আধিকারিকে।


২০১৫ সালে শিখ ধর্মগ্রন্থ অবমানার ঘটনার তদন্ত করছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। ওই তদন্তে মহিন্দর পাল বিট্টুকেই মূল অভিযুক্ত বলা হয়েছে। গত বছর বিট্টুকে হিমাচলপ্রদেশের পালানপুর থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল।


আরও পড়ুন-পরিস্থিতি বদলেছে; এখন আলোচনায় বসতে চায় হুরিয়ত, মন্তব্য জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালের


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে খবরে উঠে এসেছিল নাভা জেল। সবার একদল লোক পুলিসের পোশা পরে জেলে ঢুকে যায় একদল লোক। এরপর রক্ষীদের মারধর করে ২ জঙ্গি সহ ৬ কয়েদিকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা।