জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দু'দশকেরও বেশি সময় পর গুজরাট হিংসা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে মোদী সরকারকে। তথ্যচিত্রটির বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় আশঙ্কায় সেটিকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার কেন ওই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করা হল তার ব্যাখ্য়া দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এনিয়ে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের ব্যবসায় ১৫০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি ITO শিল্পপতিদের


তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই এনিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। তড়িঘড়ি সেটিতে ইউটিউব ও ট্যুইটার থেকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেই দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখানো শুরু হয়ে যায়। নড়চড়ে বসে প্রশাসন। 


তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সাংবাদিক এন রাম ও বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অন্যদিকে আরও একটি মামলা করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার আসল কপি আদালতে জমা দিতে হবে।


এদিকে, বিবিসির ওি তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে মামালা করেন হিন্দু সেনার প্রেসিডেন্ট বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি দাবি করেন বিবিসি ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র পক্ষপাতদুষ্ট এবং নরেন্দ্র মোদী ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই মামলাটিরও আজ শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।


এদিকে ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা ও নরেন্দ্র মোদীর উপরে তৈরি তথ্যচিত্রটি নিয়ে চাপ বাড়ছিল বিবিসির উপরে।  ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিবিসির বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন। 


সরকার এমন কথা বললেও বিবিসির কী হবে? এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছিল সেদেশে। দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের সময়ে তোলপাড় হয় ব্রিটিশ সংসদ। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদরা দিল্লিতে অবস্থানকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি করে বসেন। এবার তা না হলেও মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে চাপ বাড়ছিল সরকারের উপরে। এবার এনিয়ে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার। সুনক সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সংবাদমাধ্যম কী সংবাদ পরিবেশন করবে সে ব্যাপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে।


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, বিবিসি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। তারা কী সংবাদ পরিবেশন করবে সে ব্য়াপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমরা এও বলব ভারত আমাদের অত্যন্ত কাছের বন্ধু। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সব চেষ্টাই করবে ব্রিটেন। 


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)