রাজীব চক্রবর্তী: লোকসভা ভোটের পর এবার দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'কালকে নীতি আয়োগ এর বৈঠকে যাব। কিন্তু এই বৈঠকের কোন মানে নেই।  আমি আমার রাজ্যের বঞ্চনা, বকেয়া নিয়ে বলব। ৭ দিন আগে স্পিচ পাঠিয়ে দিয়েছি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Defamation Case: রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী: হাইকোর্ট


আগামিকাল, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রায় সকলেই যখন সেই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন একমাত্র ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে তিনি বলেন, 'দুদিন ধরে দেখছি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে যাবেন না। এই বিষয়ে আগে থেকে জোটের মধ্যে সমন্বয়ে বৈঠক হলে ভালো হত। কিন্তু প্রত্যেকটা রাজ্যের আলাদা এজেন্ডা আছে। আমি যাব। হেমন্ত সোরেন আসবে শুনেছি। সমস্ত বিরোধী রাজ্যের বিষয়ে বঞ্চনার বিষয় সরব হব। বলতে দিলে ভালো না হলে বেরিয়ে আসব। ওরা সরকার গড়েছেন, কিন্তু  জনতার রায় পাইনি'।



আরও পড়ুন:  Kolkata Metro: যাত্রী খুবই কম, কলকাতায় ৩ মেট্রো স্টেশন এবার 'বুকিং কাউন্টার বিহীন'!


এদিকে কোচবিহারের পর এবার মুর্শিদাবাদ। বাংলায় ফের পৃথক রাজ্যের দাবি ওঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। রা দেশ ভাগ করতে চায়। এই সরকার টিকবে না। আগেই বলে দিয়েছে টুকরে টুকরে প্ল্যাটফর্ম'। তাঁর কথায়, 'বন্ধুদের স্পেশাল প্যাকেজ দাও ,কিন্তু অন্যরাজ্যকে বঞ্চনা করে নয়। প্ল্যানিং কমিশন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তৈরি সেটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হোক"।


মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'বাংলাদেশ নিয়ে আমি যা বলেছি সেই মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। বিজেপির কিছু লোক এই মন্তব্য বিকৃত করেছে। বাংলাদেশও কিছু লোক এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। এটা ওদের ব্যাপার। আমাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো শিখিয়ে লাভ নেই। আমি সাত বারের সাংসদ ছিলাম। একাধিক দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম'। 


 সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের জুলাইয়ে ম়ঞ্চ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে যদি আপনাদের কোনও পরিজন থাকে, কেউ পড়াশোনা করতে যান, কেউ চিকিত্সা করতে গিয়ে ফিরতে না পারেন তা হলে আমি তাদের পাশে আছি। বাংলাদেশ নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। কারও ওটা আলাদা একটা দেশ। আমি বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটানি করে তাহলে আমি তাদের নিশ্চয় আশ্রয় দেব'। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)