জ্যোতির্ময় কর্মকার: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে সি ভি আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাত। অতি দীর্ঘ নয়, সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত দেশের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। কী নিয়ে কথা হয় দুই নেতৃত্বের, সেই সম্পর্কে যদিও বিশদে কিছু জানা যায়নি। প্রোটোকল অনুযায়ী সৌজন্য সাক্ষাত বলেই সূত্রের খবর। সাক্ষাত শেষে ফের বঙ্গভবনে ফেরত আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, শপথগ্রহণের পর বৃহস্পতিবারই দিল্লি গিয়ে পৌঁছেছেন বাংলার নবনিযুক্ত রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর এদিন শনিবার বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত চরমে গিয়ে পৌঁছেছিল। যে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, 'আমি কোনও সংঘাত চাই না। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করব। মনে হয় না কোনও সংঘাত হবে'। যদিও সংঘাতের আবহেই হয় নতুন রাজ্যপালের শপথ। বুধবার বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন সিভি আনন্দ বোস। নজিরবিহীনভাবে সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 


শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু সহ বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। কিন্তু, আসবেন বলেও শপথে আসেননি শুভেন্দু। সকালে আচমকাই টুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। দুই দলত্যাগী বিধায়কের পাশে আসন দেওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। 


আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: শান্তিকুঞ্জে অভিষেককে চায়ের আমন্ত্রণ দিব্যেন্দুর!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)