নিজস্ব প্রতিবেদন- বুলেট রাজা। না, সইফ আলি খান অভিনীত সিনেমার কথা বলা হচ্ছে না। বাস্তবের বুলেট রাজা তো বেঙ্গালুরুর এক যুবক। নাম তাঁর এল রাজেশ কুমার। তিনি বুলেট নিয়ে যখন রাস্তায় বেরোন, তখন কোনও আইন মানেন না। সিগন্যাল, ট্রাফিক আইন এসব তাঁর জন্য নয়। আর তাই গত এক বছরে তিনি ১০১ বার ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন। প্রায় প্রতিদিনই তিনি ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন বলে জানা গিয়েছে। আর তাই এবার তাঁর হাতে সাড়ে পাঁচ ফিটের চালান ধরিয়েছে পুলিস। ১০১টি মামলা হয়েছে তাঁর নামে। তাঁকে এবার মোট ৫৭,২০০ টাকা জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে তাঁর বুলেট বাইক পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনদিন সময় চেয়েছেন রাজেশ। তার মধ্যে তিনি চালানের টাকা জমা দিল ভাল। না হলে মামলা গড়াবে আদালতে। তার পর আদালতে জরিমানা দিয়ে বাইক ফেরত পাবেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯ সালে বুলেট বাইক কিনেছিলেন এই যুবক। তার পর থেকে গত ১১ মাসে তিনি ১০১ বার ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন। রাজেশ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। রোজই তিনি বাইক নিয়ে অফিসে যেতেন। এদিন অফিস যাওয়ার সময় সিগন্যাল ভাঙার জন্য তাঁকে দাঁড় করায় পুলিস। এর পরই পুলিস দেখতে পায় রাজেশ এদিনই চারবার ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙেছেন। পুলিস এর পর খতিয়ে দেখতে শুরু করে। তখনই কেচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৯৫টি মামলা ছিল রাজেশের নামে। একবারও চালানের টাকা প্রদান করেননি তিনি। তার পরই পুলিস তাঁর বাইক বাজেয়াপ্ত করে। বাইক চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা, সিগন্যাল ভাঙা, ওভারস্পিড, নো এন্ট্রিতে গাড়ি পার্কিংসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল তাঁর নামে।


আরও পড়ুন- বিধায়কের তিন তলা বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিল প্রশাসন


বেঙ্গালুরু শহরে আজ পর্যন্ত এত টাকা কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য জরিমানা দেয়নি। এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে এক সবজি বিক্রেতা ১৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেটাই সর্বাধিক। তবে এবার সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন এই যুবক। ২৫ বছর বয়সী রাজেশের কাণ্ড দেখে অবাক পুলিসও। রাজেশ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি না বুঝেই এমন ভুল করে ফেলেছেন।