মৌপিয়া নন্দী, হায়দরাবাদ: ২০২৩ সালে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালকে মাথায় রেখে, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে  (national executive meeting) একাধিক রণকৌশল নিল বিজেপি (BJP)। যার মধ্যে অন্যতম, জাতীয়তাবাদে জোর। সেক্ষেত্রে তাঁদের হাতিয়ার 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের  (national executive meeting) শুভ সূচনা করবেন। তার আগে সকালে অফিস বিয়ারার্সদের বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে বিজেপির ঘোষিত নীতি অনুযায়ী 'রাষ্ট্রবাদে' জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪-এর আগে জাতীয়তাবাদ অস্ত্রেই শান দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া জানান, 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবে বিজেপি (BJP)। ভবিষ্যতে এই কর্মসূচি আন্দোলনে পরিণত হবে। যদিও তৃণমূলের সৌগত রায় দাবি করেছেন, বিজেপির এই কর্মসূচি ব্যর্থ হবে।   


দ্বিতীয়ত, এ দিনের বৈঠকে গরিব কল্যাণ নিয়েও প্রস্তাব পেশ হয়েছে। সম্প্রতি একাধিক নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে ভাল ফল করেছে বিজেপি। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব এবং তাঁর গরিব কল্যাণ প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। ফলে এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ২০২৪-এও সেই মোদী ইমেজেই ভরসা রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির।  



তৃতীয়ত, বিজেপির পুরনো কৌশল মেনে বুথ সশক্তিকরণের কথাও এ দিনের বৈঠকে বলা হয়েছে। বাংলা হোক বা অন্য রাজ্যে, বরাবরই বুথের শক্তি বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন বিজেপির 'চাণক্য' অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৩ এবং ২০২৪-এর আগে ফের সেই বুথকে মজবুত করতে নামছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যে প্রতি বুথে কমপক্ষে ২০০ জন কার্যকর্তা এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।  


শনিবার সকালের বৈঠকে বাংলা থেকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং অনুপম হাজরারা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)