নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষোভ-প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে উত্তর ও মধ্য ভারত। সিডিউল কাস্ট - সিডিউল ট্রাইব প্রিভেনশন অব অ্যাট্রসিটিস অ্যাক্ট লঘু করে দেওয়ার অভি‌যোগে সোমবার দেশজুড়ে বনধ ডেকেছে দেশের একাধিক দলিত সংগঠন।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থকরা। মোরেনায় নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওই সংঘর্ষ দেখার সময়ে একটি বুলেট এসে লাগে রাহুল পাঠক নামে এক ব্যক্তির দেহ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়াও রাজ্যে অন্যান্য জায়গায় গুলি চালনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোরেনায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। গোয়ালিয়রের একাংশে কার্ফু জারি করা হয়েছে এবং সাগরে চলছে ১৪৪ ধারা। 



বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটে। এদিন সাত সকালেই গাজিয়াবাদে রাস্তায় নেমে পড়েন বনধ সমর্থরা। রেল অবরোধও করেন প্রতিবাদী দলিতরা। পুলিস তাঁদের সরাতে গেল দুপক্ষের মধ্যে চরম সংঘর্ষ বেধে ‌যায়।



উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করে। এনিয়ে দেরাদুনে বনধ সমর্থকরা পুলিস ও দোকানদারদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।



আরও পড়ুন-দলিত সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধে বিহার-ওড়িশায় রেল অবরোধ, পরীক্ষা বাতিল পঞ্জাবে


অন্যদিকে, জয়পুরে বনধ সমর্থকরা বেশকিছু দোকান ভাঙচুর করেছে বলে খবর। পুলিস এসে তাঁদের হঠিয়ে দিয়েছে। এখানেও অবরোধ করা হয়েছে রেল। এদিন লাইনে বসে রেল চলাচল অচল করে দেয় বনধ সমর্থকরা। বারমেঢ়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর চলেছে বেশ কিছু বাড়িতে।




মেরঠে বনধ সমর্থকরা আবার রাস্তা অবরোধ করেছে। এই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিসে এসে লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটীদের হঠিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।



ঝাড়খণ্ডেও বনধ সমর্থকরা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। রাঁচিতে আবার বিক্ষোভকারী জনতার উপর পুলিসের লাঠি চার্জের খবর আসছে।



দিল্লির মান্ডি হাউসের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থরা।



বিক্ষোভ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেও। গুজরাটের ভবনগর ও কচ্ছে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। টায়ার জ্বালিয়ে ‌যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। 



এদিকে ওই আইন লঘু করে দেওয়াকে চ্যলেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দলিত সংগঠনগুলিকে হিংসার পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।