জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জি২০ নিয়ে তপ্ত গোটা দেশ। কর্মচঞ্চল, উত্তেজিতও। তবে জি২০-র সলতে পাকানোর আগের কাজের বহরও কম নয়। জি২০ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। বৈঠকে উঠে আসে প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক শক্তি, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রসঙ্গ। বাইডেনের কথায় উঁকি দিয়ে কলকাতা-প্রসঙ্গও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: G 20 Summit: শুরু জি-২০, মধ্যমণি নমোর নেমপ্লেটে 'ভারত'! স্থায়ী সদস্যপদ আফ্রিকা ইউনিয়নের


প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁর প্রতিশ্রুতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও বৈচিত্র্যময় করে তোলার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। ৫০ মিনিটেরও বেশি সময় জুড়়ে চলা তাঁদের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিরক্ষায় অংশীদারিত্ব, পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ৬জি-র মতো  নতুন উঠে আসা বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন।


দুজনের কথা হয় কোয়ান্টাম শক্তি নিয়েও। দ্বিপাক্ষিক স্তরে কোয়ান্টাম শক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের বিষয়ে আগ্রহী বাইডেন। আর তখনই উঠে আসে কলকাতার কথা। কোয়ান্টাম ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কনসর্টিয়ামে কলকাতার সত্যেন্দ্রনাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শিকাগো কোয়ান্টাম এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আইআইটি বম্বের যুক্ত হওয়ারও অবশ্য প্রশংসা করেন তিনি।


সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস লিখেছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রাভিযানে ভারতের এই সাফল্যের জন্য নমোকে অভিনন্দন জানান বাইডেন। পাশাপাশি ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল ১-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্যও মোদীকে অভিনন্দন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ও নাসার যৌথভাবে কাজ করার বিষয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে জরুরি আলোচনা হয়।


আরও পড়ুন: G20 Summit| Modi-Biden Meet: নৈশভোজে মোদী-বাইডেন একান্তে বৈঠক, মিটতে চলেছে দীর্ঘদিনের এক বড় সমস্যা!


বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জি২০ সম্মেলন নিয়ে আস্থা প্রকাশ করেন। তাঁরা আশাবাদী যে, এই সম্মেলনের ফলে উপকৃত হবে প্রতিটি দেশই। এর পর থেকে সম্মিলিত উন্নয়ন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণ বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া বেশি সহজ হবে বলে মনে করেন তাঁরা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)