বিহারে বিজেপি জোটকে ধরাশায়ী করল লালুহীন আরজেডি
বিহারে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখল আরজেডি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নীতীশের হাত ধরার পর বিহারে ৩ আসনের উপনির্বাচন ছিল বিজেপির কাছে বড় পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় চরম কার্যত ব্যর্থ হল গেরুয়া শিবির। জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট করেও পর্যুদস্ত পদ্ম ব্রিগেড। অন্যদিকে জেহানাবাদ ও অররিয়া লোকসভা আসন দুটি ধরে রাখল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। আর এসবের মধ্যে কোনও রকমে ভাবুয়া বিধানসভা আসনটি জিতে দলের মান রাখলেন বিজেপির রিঙ্কি রানি পাণ্ডে।
অররিয়া লোকসভা কেন্দ্রে ৬১,৯৮৮ ভোটে জয়লাভ করেছে আরজেডি প্রার্থী সরফরাজ আলম। ভাবুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থীকে ১৫,৪৯০ ভোটে হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কি রানি পাণ্ডে। জেহানাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে জেডিইউ প্রার্থীকে ৩৬,০৩৫ ভোটে হারিয়েছেন আরজেডির কৃষ্ণ মোহন।
২০১৫ সালে বিহারে মোদীর রথ থামাতে মহাজোট গড়েছিলেন নীতীশ-লালু। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। লালুকে পথে বসিয়ে বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ কুমার। ফলে তিনটি কেন্দ্রেই আরজেডির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছিল বিজেপি-জেডিইউ জোট। তার উপরে আবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জেলে যেতে হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবকে। লালুহীন আরজেডি-কে নেহাতই দুর্বল প্রতিপক্ষ ঠাওরেছিল বিজেপি-জেডিইউ। কিন্তু সব হিসাব উল্টে আরজেডিই অপরাজিত থাকল। আর এরপর বিহারের বিজেপি সভাপতি নিত্যানন্দ রাইয়ের সাফাই, ''সহানুভূতির ভোট দিয়েছে বিহারবাসী। জনাদেশকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। আমরা নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ সালের নির্বাচন জিতব আমরাই।''
লালুপ্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতিতে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব। জয়ের পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ''বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী একাধিক দুর্নীতিতে জড়িত। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। আমাদের আশঙ্কা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে হারের পর সিবিআই, ইডির তত্পড়তা আবারও বেড়ে যাবে।''
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে উপনির্বাচনের ফলাফলে একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট, ২০১৯ সালের আগে এক বন্ধনীতে আসছে বিরোধী দলগুলি। তাদের সামনে মোদীর ফিরে আসার লড়াই কণ্টকাকীর্ণ হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।