নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক মহলের একাংশে ধারনা ছিল, বিহার ভোটে কিং মেকার হতে উঠতে পারে এলজেপি। ভোটগণনা শুরু পর টানা ১৪ ঘণ্টা চিরাগ পাসোয়ানের দলের কোনও সাড়শব্দ ছিল না। শেষপর্ষন্ত মাটিহানি আসনে জিতে খাতা খুলল এলজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাটিহানি আসন থেকে লড়াই করে জয়ী হলেন দলের প্রার্থী রাজকুমার সিং। মাত্র ৩৩০ ভোটে তিনি হারালেন জেডিইউ প্রার্থী বোগো সিংকে।



আরও পড়ুন-গণনায় প্রভাব খাটিয়েছেন নীতীশ, নালিশ ঠুকতে কমিশনে আরজেডি-কংগ্রেস প্রতিনিধিরা 


এদিকে গণনা এখন শেষপর্যায়ে। সংখ্যগরিষ্ঠতার দিকেই এগোচ্ছে এনডিএ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার ১৬৫ আসনে ফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্য়ে এনডিএ পেয়েছে ৮৩ আসন। মহাজোটের ঝুলিতে এসেছে ৭৬ আসন। মিম জিতেছে ৪ আসনে, বিএসপি ১, এলজেপি ১ ও নির্দল ১টি আসন পেয়েছে। 



এখনও পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ১২৪ আসনে। মহাজোট দাঁড়িয়ে ১১১-তে।  এরকম এক উত্তেজক পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযাগ আনল আরজেডি ও কংগ্রেস। এনিয়ে দরবার করতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে গেল তাদের প্রতিনিধিদল।


কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিং সংবাদমধ্যমে বলেন, গণনায় ব্যাপক গোলমাল রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, মহাজোট ১১৯ আসন পেয়েছে বলে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে আরজেডি।


আরও পড়ুন-২৬ আসনে ব্যবধান হাজারের কম, IPL ফাইনালের মাঝে বিহারের থ্রিলার সুপারওভারে


নির্বাচনে সিপিএম ভালো ভোট পেয়েছে বলে দাবি করলেন সীতারাম ইয়েচুরি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, বিহারে আমাদের স্ট্রাইক রেট ৮০ শতাংশ। বেশি আসন পেলে আমরা মহাজোটের পাশে দাঁড়াতে পারতাম। 


অন্যদিকে, দলের ভালো ফলে খুশি মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। তেলঙ্গানায় তাঁর বাড়ির সামনে উত্সব শুরু করে দিয়েছে সমর্থরা। মিম প্রধান বলেন, বিহারের মানুষ আমাদের সম্মানিত করেছে। আমাদের কাছে এটি বড় পাওনা। যা পতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা মেটানোর চেষ্টা করব।