নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের অন্যতম বড় হাসপাতাল বর্ষার বৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে আস্ত পুকুরে। এমনকি খেলে বেড়াচ্ছে মাছও! নোংরা জল পেরিয়েই রোগীদের দেখছেন চিকিত্সকরা। হ্যাঁ, বিহারের রাজধানী পটনায় নালন্দা মেডিক্যাল কলেজের ছবিটা এমনই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পটনার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-র অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। আইসিইউ-তে সংক্রমণের আশঙ্কায় সবসময় স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হয়। সেই আইসিইউ-তে জমে রয়েছে এক হাঁটু জল। জলে ঘোরেফেরা করছে মাছ।


গত কয়েক দিন ধরে পটনায় অনবরত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার জেরে বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন। জলযন্ত্রণা থেকে রক্ষা পায়নি বিহারের নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতালে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে আসেন প্রায় ২০০০ রোগী। হাসপাতালে রয়েছে ৭৫০টি বিছানা। কিন্তু গোটা হাসপাতালই জলে থইথই। ফলে সমস্যা পড়েছেন রোগীরা। চিকিত্সকরাও কষ্ট করে এক হাঁটু জলেই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে চিন্তা বাড়িয়েছে আধুনিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি। সেগুলি জলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি শর্ট সার্কিটের ঘটনাও ঘটতে পারে। সে কারণে কয়েকটি যন্ত্র বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে জীবনদায়ী ব্যবস্থার যন্ত্রগুলি নিয়েই উদ্বেগে চিকিত্সকরা। কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বাঁচিয়ে রোগীদের চিকিত্সা করাই আপাতত লক্ষ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।        



তাঁর জমানায় উন্নয়নের কথা ফলাও করে প্রচার করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও নিজের উন্নয়নের ফিরিস্তি দেন তিনি। এমনকি লোকসভায় বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগের ক্ষেত্রেও নীতীশের কাজের কথা তুলে ধরেছে জেডিইউ। তাদের বক্তব্য, ভোট প্রচারে নীতীশের উন্নয়ন বিজেপির পক্ষে সুবিধাই করবে। সেই বিহারের সরকারি হাসপাতালে এহেন জল-ছবি যে নীতীশের উন্নয়নের মডেলের পক্ষে মোটেও সুখকর নয়, তা ঠাওর করেছেন লালুপুত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''এটা নীতীশ কুমারের উন্নয়নের মডেল। আইসিইউ-তে ভরে গিয়েছে নর্দমার জল। দেখা যাচ্ছে মাছও। নীতীশ কুমার ঘুমোচ্ছেন''। 


 



তবে টুইট করে নিজেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তেজস্বী যাদব। বিহারে আরজেডি-জেডিইউ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপ যাদব। নীতীশের আগে এক দশকেরও বেশি লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবী মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। কেন তখন হাসপাতালের হাল ফেরাননি তাঁরা, সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তেজস্বী যাদবকে।      


আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০১৯, বঙ্গে কৃষ্ণ নামেই গেরুয়া আবেগে শান দেওয়ার কৌশল ভিএইচপি-র