ইংরেজি বুঝতে না পেরে ব্যবসায়ীকে জেলে পুরল বিহার পুলিস
আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন নীরজ কুমার ও তাঁর স্ত্রী বেনু। নীরজকে আদালত খোরপোশ বাবদ ২৫০০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সময়ে খোরপোশ দিতে ব্যর্থ হন নীরজ, আদালতে যান নীরজের স্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়ারেন্টের মানে যে শুধু গ্রেফতার নয়। মগজেই ঢোকেনি বিহার পুলিসের। তারই মূল্য চোকালেন পটনার ব্যবসায়ী। বিনা দোষে একরাত কাটাতে হল লক আপে।
দারোগার আং-রে-জি জ্ঞান। সে যে কী বিষম বস্তু! হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন নীরজ কুমার। জেহানাবাদের মিষ্টির কারবারি। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। খোরপোশ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে গণ্ডগোল। তার জেরে জেলে যেতে হবে ভাবতেই পারেননি নীরজ। ঘটনার শুরু মাস কয়েক আগে....
আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন নীরজ কুমার ও তাঁর স্ত্রী বেনু। নীরজকে আদালত খোরপোশ বাবদ ২৫০০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সময়ে খোরপোশ দিতে ব্যর্থ হন নীরজ, আদালতে যান নীরজের স্ত্রী। আদালত পুলিসকে নীরজের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। তারজন্য পুলিসের ডিসট্রেস ওয়ারেন্টের দরকার ছিল, যা ইস্যু হয়।
আরও পড়ুন- 'মিস্টার ইন্ডিয়া'র মতো এবার অদৃশ্য হয়েই সীমান্তে লড়বে সেনা
আসল গোলটা বাধে এরপরই। ওয়ারেন্ট শব্দের যে অন্য মানে হতে পারে তা জানাই ছিল না জেহানাবাদ থানার পুলিস কর্মীদের। সম্পত্তির হিসাবের পরোয়ানা তাই দিব্যি তাঁরা গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট বলে ধরে নেন। এক রাত হাজতেই কাটে। কেন গ্রেফতারি? হাজার প্রশ্ন করেও উত্তর পাননি নীরজ। অগত্যা রাতটা হাজতেই কাটাতে হয়। সকালে হাতকড়া পরিয়ে নীরজকে আদালতে তোলা হয়। এবার ভুল ধরিয়ে দেন বিচারক।
অবশেষে রেহাই। হাজত থেকে বেরিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন নীরজ। ভুল যে একটা হয়েছিল মানছেন জেহানাবাদের ASPও। ছোড়নেওয়ালা নন নীরজও। পুলিসের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।