নিজস্ব প্রতিবেদন- এমনটা তো সাধারণত হয় বেসরকারি চাকরিতে। মাসের প্রতিটা দিন কোনও এক অদৃশ্য মাপকাঠিতে দেখা হয় কোন কর্মী কেমন কাজ করছে। কোনও এক অদৃশ্য নজর সব সময় নজর রাখে কর্মীদের উপর। একটু এদিক ওদিক হলেই চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে আবার এসব হয় নাকি! হয়। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও এখন অনেক বদল হচ্ছে। কাজ করতে হবে। বসে বসে মাইনে নেওয়া চলব না। কাজে ফাঁকি দিলে সরকারি চাকরিও খোয়াতে পারেন যে কেউ। তবে এখনও সব সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই নিয়ম জারি হয়নি। তবে বিহার পুলিসে এবার এমন নিয়ম চালু হচ্ছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের আতস কাঁচের নিচে রাখা হবে। কাজ ফাঁকি দেখা গেলে সেই পুলিসকর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহার পুলিসের হেড কোয়ার্টার থেকে নির্দেশ এসেছে এবার থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুলিসকর্মীদের কাজের উপর নজর রাখা হবে। যে পুলিসকর্মীর কাজে গাফিলতি দেখা যাবে তাঁকে স্বেচ্ছাবসরে পাঠানো হবে। অধিকর্তাদের এমন সিদ্ধান্তে বিহার পুলিসের পঞ্চাশোর্ধ কর্মীরা তটস্থ হয়ে রয়েছেন। ২৫ অগাস্ট এমন সিদ্ধান্তের পরই প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি পাঠানো হয়েছে। সেই কমিটি প্রতি মাসের ৯ তারিখে রিপোর্ট পেশ করবে। সেখানে লেখা থাকবে সংশ্লিষ্ট জেলার কোন পঞ্চাশোর্ধ পুলিসকর্মী কাজ গাফিলতি দিচ্ছেন। তার পর সেই কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করা হবে। প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জকে ফাঁকিবাজ পুলিসকর্মীদের নামের তালিকা সেই কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- ১১ মাসে ১০১ বার ট্রাফিক আইন ভাঙল যুবক! সাড়ে পাঁচ ফিট লম্বা চালান ধরাল পুলিস


বিহার পুলিস অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এটা নেহাতই তুঘলকি সিদ্ধান্ত। এভাবে কর্তারা আসলে ফোর্স থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের বেআইনিভাবে ছেঁটে ফেলতে চাইছে। পঞ্চাশোর্ধ পুলিসকর্মীকে চাকরি থেকে সরানো হলে তাঁর পরিবারের উপর প্রভাব পড়বে। এই বয়সে একজন পুলিসকর্মী অন্য কোনও কাজও করতে পারবেন না।