স্বামীকে কুপিয়ে রাসায়ানিক মাখিয়ে বিস্ফোরণ! নৃশংস খুনে পুলিসের জালে স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেমের জন্য এমন ঘটনা কোনও স্ত্রী ঘটাতে পারে তাঁর এক মর্মান্তিক উদাহরণ হয়ে রইল বিহারের এই খুন। প্রেমিকের সঙ্গে একযোগ হয়ে স্বামীর দেহ কুপিয়ে, রাসায়ানিক মাখিয়ে তা বিস্ফোরণ করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করলেন স্ত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরপুর থানা এলাকার সিকন্দরপুর নগরে। সেখানে ৩০ বছরের রাকেশকে খুন করেন স্ত্রী রাধা, তাঁর প্রেমিক সুভাষ এবং রাধার বোন কৃষ্ণা ও তাঁর স্বামী। পুলিস জানায় খুন করে প্রথমে দেহে কেটে ফেলা হয়। এরপর ভাড়া বাড়িতেই ওই ছিন্ন দেহে মাখানো হয় রাসায়ানিক। তবে এখানেই শেষ নয়। খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর বিস্ফোরণের আওয়াজে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা অবিলম্বে খবর দেয় পুলিসে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দেখে যে ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন দেহ। সেগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হবে ফরেন্সিক পরীক্ষাও। 

এরপর তদন্ত শুরু হতেই জানা যায় খুনের পরিকল্পনা। যদিও মৃত রাকেশ অনেকদিন ধরেই পুলিসের নজরে ছিলেন। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হলেও আড়ালে অবৈধভাবে সুরার ব্যবসা চালাতেন তিনি। এরই মধ্যে রাকেশের ব্যবসার পার্টনার সুভাষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হন রাধা। এরপরই রাকেশকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটেন তাঁরা, পুলিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

তিজ উৎসব উপলক্ষে সুভাষকে বাড়ি ডাকেন রাধা। এই কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাঁর বোন ও জামাইবাবুও। সুভাষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানত গোটা পাড়া। রাকেশের ভাই দীনেশ জানান যে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সেখানে যেতেই দাদার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। খুনের মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।