জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট হিংসায় বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামী ক্ষমাভিক্ষার কারণে মুক্তি পেয়েছে। এতদিন ওইসব সাজাপ্রাপ্তরা ছিল গোধরা উপ-সংশোধনাগারে। টানা পনের বছর জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন জানায় এক সাজাপ্রাপ্ত। সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন পাঠিয়ে দেয় গুজরাট সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার ওইসব সাজাপ্রাপ্তদের আবেদন মঞ্জুর করে। ফলে গত ১৫ আগস্ট ওই ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়। এবার গুজরাট সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার ওই আবেদনটি করেন আইনজীবী অপর্ণা ভাট। আগামিকাল ওই মামলাটি পর্যালোচনা করবেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। এনিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এই ধরনের মামলার পুনর্বিবেচনার ঘটনা খুবই কম। কিন্তু আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি না। বরং চ্যালেঞ্জ করছি তাদের ক্ষমভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করাকে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ওইভাবে ছেড়ে দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সিপিএম নেত্রী সুভাসিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাউল ও অধ্যাপক রূপরেখা ভার্মা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'দম থাকলে কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক',এবার দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দিলীপ!


বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের আবেদনের ভিত্তিতে এবছর মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় ক্ষমাভিক্ষার বিষয়টি একমাত্র গুজরাট সরকারই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এনিয়ে তাদের ২ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপরই তাদের আবেদন ম্জুর করে গুজরাট সরকার। গত ১৫ আগস্চ তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে বাইরে এলে তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সংর্বধানা দেওয়া হয়। এনিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ।


গোধরাকাণ্ড পরবর্তিতে ওই ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। এভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর একপ্রকার শেষ হয়ে যায় বিলকিস বানোর লড়াই। ২০০২ সালে ভয়ঙ্কর গুজরাট হিংসায় বিলকিস বানোর পরিবারের ৮ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে উন্মত্ত জনতা। পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি তার চোখের সামনেই তার ৩ বছরের মেয়েকে আছড়ে মারা হয়। ওইসব অভিযুক্তদের সাজা হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার ঠিকানা বদল করেছে বিলকিস বানো। কিন্তু যাবজ্জীবন সাজা পেলেও একাধিক বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা। কখনও চিকিত্সার জন্য, কখনও আবার বাড়িতে অনুষ্ঠানের জন্য। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্যারোলে মুক্তি পেয়েই ওইসব সাজাপ্রাপ্তরা ওই মামলার সাক্ষীদের হুমকি দিত। এমনকি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ওইসব ধর্ষকদের রাজনৈতিক সভাতেও দেখা গিয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)