ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর `সুস্থ সামাজিক জীবন` চান স্ত্রী নীতি
সব ঠিকঠাক থাকলে মোদীভক্ত বিপ্লবই এবার `ত্রিপুরাধিপতি` হতে চলেছেন। তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিবিড় যোগাযোগ আর উপজাতিদের ভোট এককাট্টা করে আড়াই দশকের বামদূর্গ চূর্ণ করেছে গেরুয়া শিবির। এই লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের `পোস্টার বয়` ছিলেন ৪৯ বছরের `নওজওয়ান` বিল্পব দেব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কথায় আছে, সব সফল পুরুষের পিছনেই না কি থাকে এক নারীর অবদান। এই সময়ে ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত পুরুষের ক্ষেত্রেও সম্ভবত এ কথাই প্রযোজ্য। একদা কর্মসূত্রে দিল্লি নিবাসী বিপ্লব দেব না কি স্ত্রী নীতির পরমার্শ নিয়েই ত্রিপুরা এসেছিলেন। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা স্ত্রী নীতিকেই সবার আগে জানিয়েছিলেন বিল্পব। নীতিও স্বামীর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে তাঁর 'ব্যাক বোন' হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বাকিটা এখন ইতিহাস ও ভবিষ্যতের গর্ভে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরা বিপ্লবের মহা'দেব' কাহিনী
সব ঠিকঠাক থাকলে মোদীভক্ত বিপ্লবই এবার 'ত্রিপুরাধিপতি' হতে চলেছেন। তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিবিড় যোগাযোগ আর উপজাতিদের ভোট এককাট্টা করে আড়াই দশকের বামদূর্গ চূর্ণ করেছে গেরুয়া শিবির। এই লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের 'পোস্টার বয়' ছিলেন ৪৯ বছরের 'নওজওয়ান' বিল্পব দেব।
আরও পড়ুন- 'একেবারেই অপ্রত্যাশিত', হারের পর প্রথম সাক্ষাত্কারে বললেন মানিক সরকার
তিন বছর আগে সুনীল দেওধরের কোচিংয়ে ত্রিপুরার ব্যাটন এসেছিল তাঁর হাতে। এবার তিনি তৈরি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে। পাশাপাশি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের মতোই এই দায়িত্বেও যে বিল্পব 'পদ্ম' ফুটিয়ে দেখাবেন, সে বিষয়ে আশাবাদী তাঁর স্ত্রী নীতি। তাঁর কথায়, "আমি এমন মানুষ চাই না, যিনি হতাশ। ভোট দিয়ে যারা দলকে জিতিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন সফল না করতে পারলে তিনি হতাশ হয়ে পড়বেন। আমি মনে করি, একজন হতাশ মানুষ কখনই সুখী জীবনযাপন করতে পারে না।" আরও একধাপ এগিয়ে নীতি এও বলেন, "ত্রিপুরার দায়িত্ব নেওয়ার আগেও ও (বিল্পব) আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি সম্মতি জানিয়েছলাম এবং আমি তখন থেকেই জানি এরপর আমার দায়দায়িত্ব কী হতে চলেছে।"
আরও পড়ুন- তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা মমতার! ২০১৯ নির্বাচনে অবিজেপি জোট জল্পনা তুঙ্গে
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় জন্ম হলেও কর্মসূত্রে ১৫ বছর দিল্লিতেই কাটিয়েছেন বিল্পব। বছর দুয়েক আগে সুনীল দেওধরের কথায় ত্রিপুরায় ফেরেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতির আসনে তাঁকেই বসায় সংঘ পরিবার। ঠিক ২ বছর পর ২০১৮ সালে তাঁকে 'মুখ' করেই নির্বাচন লড়ে বিজেপি। অবশেষে তাঁর নেতৃত্বেই এল 'অপ্রত্যাশিত' জয়। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এই বিল্পব দেবকেই মানিকের ছেড়ে যাওয়া মসনদে বসাতে চাইছে মদী-শাহ জুটি। যদি তেমন নাটকীয় পট পরিবর্তন না হয়, তাহলে এই বিল্পপই হতে চলেছেন ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী।