নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৭৫ সাল ২৫ জুন। ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা বাজার কয়েক মিনিট আগে বৃক্ততা রাখেন তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ফারুকউদ্দিন আলি আহমেদ। দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশেই জরুরী অবস্থা জারি হয়েছিল। যা স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের ইতিহাসে ১৯ মাস ধরে চলা জরুরী অবস্থাকে কালো অধ্যায় হিসাবে ব্যাখ্যা করেন রাজনীতিবিদের একাংশ। ৪৪ বছর পর আজ সেই দিনটির স্মৃতি উস্কে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাও ওই দিনের সমালোচনায় মুখর হন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে জরুরীকালীন সময়ের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়োতে তুলে ধরা হয় বিক্ষোভ, মিছিল, পুলিসের লাঠিচার্জ, গ্রেফতার, সাংবাদমাধ্যমের অধিকার খর্ব-সহ একাধিক ঘটনার কোলাজ। প্রধানমন্ত্রী নিজের কন্ঠে সেই সব ছবির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, জরুরীকালীন সময়ে নির্মম অত্যাচার চলেছে। এর থেকে বড় হুমকি কী হতে পারে? তবে, গণতন্ত্র কখনও নজু হয়নি। জয়প্রকাশ নারায়ণ, এলকে আডবাণী, অটল বিহারি বাজপেয়ী-সহ যে সব নেতারা ওই সময়ে আন্দোলন করে জেলে গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এ দিনের স্মৃতি তুলে বলেন রাজনৈতিক স্বার্থে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কালো অধ্যায় বলে ব্যাখ্যা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জয় প্রকাশ নাড্ডা বিজেপি ও রাষ্ট্র সঙ্ঘের নেতাদের বলিদান প্রতি সম্মান জানান। তবে, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সপার্ষদের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে জানান, গত পাঁচ বছর দেশে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ চলেছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচানোর জন্য লড়াই চালাতে হবে।