নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে ছাড়িয়ে গেল বিজেপি।  শুক্রবার বিকেলে রাজ্যসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখন ৮৬। ৪১ সাংসদে নেমে গিয়েছে কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪৫। তার মধ্যে প্রায় একশোর কাছাকাছি সদস্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন National Democratic Alliance (NDA)-র। বিজেপি ঘনিষ্ঠ এআইডিএমকে (৯), বিজেডি (৯), ওয়াইএসআর কংগ্রেস (৬) ও অন্যান্য ছোট আঞ্চলিক দলগুলির সদস্যদের জুড়লে সংসদের উচ্চকক্ষে অপ্রতিরোধ্য মোদীর দল। দলত্যাগীদের টেনে শক্তি অনেকখানি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হওয়ায় ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাধিকবার বিল পাস করাতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে মোদী-শাহকে।


রাজ্যসভার ৬১টি আসনে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে কোভিড-১৯ অতিমারীর জেরে বিঘ্নিত হয় গোটা প্রক্রিয়া। ৪২ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিলেন। তার মধ্যে ৮জন বিজেপির। কংগ্রেস ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৪ জন করে সদস্য ছিলেন। মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে আসন বাড়ানোর সুযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। সবমিলিয়ে ১৭টি আসন জিতেছে বিজেপি ও কংগ্রেস ৯টি। বাকি আসনগুলি- 


বিজেডি ৪
তৃণমূল ৪
জেডিইউ ৩
এআইডিএমকে ৩
ডিএমকে ৩ 
এনসিপি ২
আরজেডি ২
টিআরএস ২
অন্যান্য ৩


বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের চেয়ে দ্বিগুণ আসন হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বিজেপির। শরিক ও বন্ধু দলগুলির উপরেই নির্ভরশীল হতে হবে তাদের। তা সত্ত্বেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, তিন তালাক বিরোধী ও নাগরিকত্ব সংশোধনীর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে সক্ষম হয়েছিল মোদী সরকার। 


আরও পড়ুন- ভারতকে চাপে ফেলতে 'স্বল্পোন্নত' বাংলাদেশকে 'খয়রাতি' চিনের!