নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে কংগ্রেস হেরে যাওয়ায় ভালই হয়েছে, গুজরাটের ভাদোদরায় ছাত্রদের সামনে এমন অবাক করা কথাই বললেন রাহুল গান্ধী। এই পরাজয় থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন, বলে দাবি রাহুলের। তবে এখানেই শেষ নয়, আজ রাহুলের বক্তৃতায় অবাক হওয়ার মতো উপাদানের অভাব ছিল না। রাহুল সরাসরি জানিয়ে দেন, পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে তিনি দশে খুব জোর পাঁচ নম্বর দেবেন। তবে এগিয়ে রাখবেন এনডিএ সরকারের কার্যকারিতার থেকে। 'মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ' পরিবারে বড় হওয়া রাহুল গুজরাটবাসীকে এদিন বলেন, রাজ্যে কংগ্রেস সরকার গড়লে সেই সরকার জনগণের 'মনকি বাত' শুনবে, কোনও কিছুই চাপিয়ে দেবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল গুজরাট থেকে রাজ্যসভার কঠিন আসনে জেতার পর থেকেই নতুন উদ্যমে সে রাজ্যে নেমেছে কংগ্রেস। ভোটমুখী গুজরাটে মোদী বিরোধী হার্দিক প্যাটেলের সমর্থনও ইতিমধ্যে গিয়েছে কংগ্রেসের দিকেই। এর পাশাপাশি রয়েছে ব্যবসায়ী প্রধান গুজরাটে জিএসটি বিরোধী চরম ক্ষোভ এবং প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। আপাতত এই চার অস্ত্রে ভর করেই মহাত্মা গান্ধীর রাজ্য পুনরুদ্ধারে নেমেছে রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। অন্যদিকে, এর পাল্টা হিসাবে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের গড় আমেঠি-রায়বেরিলিকে টার্গেট করে আজই উত্তরপ্রদেশের ময়দানে নেমেছে অমিত শাহ-স্মৃতি ইরানি-যোগী আদিত্যনাথ ত্রয়ী।


প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে মার্কিন সফরের সময় রাহুল মেনে নিয়েছিলেন যে, কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে এক শ্রেণির নেতৃত্বের মধ্যে ঔদ্ধত্যের কারণেই ২০১৪ সালে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল দলের। আজ আবারও দল হেরে গিয়ে ভাল হয়েছে বলে সেই কথারই পুনরুল্লেখ করলেন সোনিয়া পুত্র। লক্ষ্যনীয়ভাবে এদিন রাহুলের গলায় বারবার 'আমি' শব্দটি শোনা গেছে 'আমরা'র পরিবর্তে। বিগত ইউপিএ সরকারের কাজকে পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর দিয়ে রাহুল বুঝিয়ে দিলেন তাঁর কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে উন্নততর পরিষেবা পাবে সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সহসভাপতির পদ থেকে সভাপতির পদে রাহুলের উত্তরণ আপাতত নিশ্চিত বলে খবর দলীয় সূত্রে। তিনি ক্ষমতা পেলে সাম্প্রতিক অসহিষ্ণুতার আবহ কেটে গিয়ে যে প্রকৃত গান্ধীবাদী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে তা বোঝাতে আজ রাহুল বলেন, "আমার বাবার হত্যাকারীর মৃতদেহ দেখে আমি দুঃখ পেয়েছিলাম, প্রিয়াঙ্কাকেও বলেছিলাম সেকথা, সেও একই রকম কষ্ট পেয়েছিল।" সবমিলিয়ে রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস যে সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্র্যান্ড, সেই ইঙ্গিতই আজ দিতে চেয়েছেন ইন্দিরা গান্ধীর নাতি, এমনই শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে।


আরও পড়ুন- যোগী-অমিত-স্মৃতির ত্রিফলায় বিদ্ধ মা-ছেলের গান্ধী পরিবার