নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমে শিবসেনা, পূর্বে জেডিইউ, এলজেপি ও আরএলএসপি- লোকসভা ভোটের আগে শরিক সামলাতে নাজেহাল দশা বিজেপির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটনায় বিজেপির নৈশভোজে হাজির হননি উপেন্দ্র কুশওয়া। তার ২৪ ঘণ্টা পরে কুশওয়াকে জোটবার্তা দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এদিন আবার সুশীল মোদীর ইফতারের দাওয়াতে অনুপস্থিত রইলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও রামবিলাস পাসোয়ান। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই শরিকদের নিয়ে ভোজের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভার মাত্র এক বছর আগে পরপর উপনির্বাচনের হারের পর শরিকি যন্ত্রণায় বিজেপি।মওকা বুঝে বড় শরিককে চাপে রাখছে বন্ধু দলগুলি। বিহারে এনডিএ জোটের ছোট শরিক উপেন্দ্র কুশওয়া। তবে রাজ্যের জনসংখ্যার ১০ শতাংশের উপরে নিয়ন্ত্রণ এই নেতার। এদিকে আবার এর মধ্যেই এক দফা হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন বড় শরিক জেডিইউ-র নীতীশ কুমার। বিজেপির সঙ্গে যে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা আঁচ সংখ্যালঘুদের মঞ্চে তিনি বলেও ফেলেছেন, ''আপনাদের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপোষ করিনি।'' সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে হারের পর নীতীশ যে চাপে তা এই মন্তব্যে স্পষ্ট। আর এক শরিক রামবিলাস পাসোয়ানও সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নৈশভোজে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর সঙ্গে ছিলেন নীতীশ কুমার ও রামবিলাস পাসোয়ান।  


কেন নৈশভোজে যোগ দেননি? সকালে পটনা বিমাবন্দরে উপেন্দ্র কুশওয়া বলেন, ''নৈশভোজে বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি অমিত শাহও তো আসেননি। তাঁকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে না?'' এই প্রশ্ন ওঠাটাও স্বাভাবিক। প্রকাশ সিং বাদল বা উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে সাক্ষাতে যেতে পারছেন অমিত, অথচ বিহারে অনুপস্থিত তিনি। এদিন আবার কুশওয়াকে মহাজোটে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। এদিন বিকেলে আবার সুশীল মোদীর ইফতার পার্টিতে নীতীশ, রামবিলাস বা কুশওয়া কেউই হাজির হননি। অতঃকিম বিহারে ইফতারের দাওয়াতেও শরিকি দ্বন্দ্ব মেটাতে পারছেন না মোদী-শাহ।


আরও পড়ুন- Exclusive: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছকের পিছনে কারা? উমর-মেবানির কী যোগ?