নিজস্ব প্রতিবেদন : ১ জুলাই দেশজুড়ে জিএসটি লাগু করার পর, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল ব্যবসার কেন্দ্র সুরাট। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সুরাটের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সেই বিক্ষোভ আন্দোলনকেই 'কাজে লাগিয়ে' গুজরাটে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামে কংগ্রেস। মনে করা হয়েছিল, এই জিএসটি বিরোধীতাকে কাজে লাগিয়েই ভোটের বৈতরনী পাড় করবে রাহুল গান্ধীর দল। তবে সে আশা অধরাই থেকে গেল। সুরাটের ১২টি বিধানসভা আসনেই জয় জয়কার বিজেপির। ফের চওড়া হাসি হাসলেন নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে বিজেপির সবথেকে শক্ত ঘাঁটি সুরাটের ১২টি আসন। গুজরাটের ব্যবসায়ীক কেন্দ্র বলে পরিচিত এই এলাকায় বরাবরই বড় ব্যবধানে জয় পায় তারা। ২০১২-র নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সুরাট উত্তর থেকে গত নির্বাচনে রেকর্ড ভোটেও জয় পেয়েছিলেন বিজেপির অজয়কুমার যশবন্তলাল চোকসি।


আরও পড়ুন- রাজকোটে বিজেপি রাজ, গড় রক্ষা রূপানির


তবে এবার এই শক্ত ঘাঁটির পরিস্থিতি ছিল কিছুটা আলাদা। ১ জুলাই দেশজুড়ে অভিন্ন পরোক্ষ কর জিএসটি লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার প্রভাব পড়ে সুরাটের শিল্প মহলে। মোদী সরকারে বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন সুরাটের ছোটো ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা। নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ব্যবসায়ীদের সেই বিক্ষোভ আন্দোলনকে কাজে লাগাতে শুরু করে কংগ্রেস। দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েন। জিএসটি-র নতুন নামকরণ করেন 'গব্বর সিং ট্যাক্স'। মনে করা হয়েছিল এই একটি বিষয়কে ভাঙিয়েই সুরাটের ১২টি আসনে প্রভাব ফেলতে পারবে কংগ্রেস।


সোমবার নির্বাচনের ফল প্রকাশ পেতেই এই কেন্দ্রগুলিতে নিজেদের জয় ক্রমশ নিশ্চিত করতে থাকে বিজেপি। সেই সঙ্গে, একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যায় যে, জিএসটি ইস্যু সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি সুরাটের ভোট বাক্সে। ওলপাদ, মঙ্গরোল, কামরেজ, সুরাট পূর্ব, সুরাট উত্তর, বারুচ, করঞ্জ, লিম্বাত, উধনা, মাজুরা, কাটারগাম, বরদৌলিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের থেকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।