নিজস্ব প্রতিবেদন:  দিল্লিতে দলের কর্মকর্তাদের জাতীয় মহাঅধিবেশনে কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাফ বললেন, এই চৌকিদার কাউকে ছাড়বে না।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের একাধিক প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি সেইসব প্রকল্পের সঙ্গে বিগত সরকারের কার্যপদ্ধিতির তুলনা করে কর্মকর্তাদের চাঙ্গা করলেন নমো।


জেনে নিন কী বললেন নরেন্দ্র মোদী-


সর্দার প্যাটেল যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন তা হলে দেশের ছবি অন্যরকম হতো।


ভাজপা প্রমাণ করেছে দেশ বদলাতে পারে। প্রমাণ করেছে দেশ বিনা ভ্রষ্টাচার ছাড়া চালানো যায়। দালালদের সিস্টেম থেকে বের করা যায়।


১০শতাংশ সংরক্ষণ নয়া ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। যুবাদের আশার আলো দেখাবে।


গরিবদের আর অবহেলা করা যাবে না। এতদিন যারা সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন তাদের প্রাপ্য কেটে না নিয়েও আর্থিক ভাবে পিছিয়েপড়াদের সাহায্য করা গিয়েছে।


এতেই সব ঠিক হয়ে যাবে তার দাবি করিনা। তবে এটি একটি দিক নির্দেশ করবে।


কৃষকদের ওপরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। যাদের ওপরে কৃষকদের উন্নয়নের দায়িত্ব ছিল তারাই তাদের ডুবিয়েছে। অন্নদাতাকে মতদাতা বানিয়েছে বিজেপি। আমরা অন্নদাতাকে শক্তিদাতা বানাতে চাই। এর জন্য শর্টকাটের পরবির্তে লম্বা রাস্তা নিয়েছে। বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। ফসলের দেড়গুণ দাম পাওয়ার জন্য কৃষকদের কতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে দেখুন। সরকার স্বামীনথান কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছে।


গত সাড় চার বছরে ৯৫ লাখ মেট্রিক টন ফসল কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছে।


দেশ মজবুত সরকার চায় যাতে আযূষমান ভারতের দ্বারা ১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য বিমা পেতে পারে।


এখন লক্ষ্য করুন কতগুলো প্রকল্প আমার নামে চলে! আয়ুষমানে আগে নরেন্দ্র মোদী লেখা রয়েছে কি!


দালালির যুগে যেভাবে শৌচালয় হচ্ছিল তা চললে কত বছর চলত! ভাবুন একবার। বছরের পর বছর চলে যেত
৬০ সালে কংগ্রেস ১৮ লাখ কোটি ঋণ দিয়েছে। বিজেপির ৪ সালে ৩৪ লাখ কোটি ঋণ দিয়েছে।


লোন দেওয়া আগে ২টো প্রসেস ছিল। একটি হল কমন প্রসেস আর অন্যটি হল কংগ্রেস প্রসেস। একটা সাধারণ পদ্ধাতি। অপরটা কংগ্রেসের ফোন ব্যাঙ্কিং।


এই প্রথম কোনও দালালকে বিদেশে থেকে দেশে ধরে এনেছে সরকার। আগে তাদের বিমানে বিদেশে পাঠানো হতো।


দেশ মজবুত সরকার চায়। ভারত মজবুত সরকার চায়। কারণ ২জির মতো ঘোটালা না হয়। ডিজিটার পদ্ধতির উন্নতি হয়।


দেশের যে কোনও প্রকল্পের বিরোধিতা করে। এরা আয়ূষমান ভারতের বিরোধিতা করে।


এরা সরকার সবকিছু বিরোধিতা করে। এরাই চুরাশির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের সমর্থন করে।


দেখুন, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীগড় সিবিআইকে ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। কেন!


এরা যে কোনও ভাবে কেন্দ্রকে বিরক্ত করে।


ওরা তো বলে বেড়ায় মোদী জেলে গেল বলে। ওরা তো অমিতভাইকে জেলে ঢুকিয়েই দিয়েচিল বলা যায়।


সেনা, সিএজি, সিবিআই, আরবিআই সব ঝুট। একমাত্র ওরাই সত্যি।


এই লড়াই সংবিধান বনাম রাজপাটের লড়াই।


কংগ্রেস কীভাবে সিস্টেম ভাঙে তার একটা উদাহরণ ন্যাশন্যাল হেরল্ড কেস। এই মামলায় কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা বর্তমানে জামিনে মুক্ত।


কংগ্রেসের ফাস্ট ফ্যামিলি মনে করে আমাদের কীভাবে এই মামলায় জেরা করা হতে পারে! ওই মামলায় ৪৪ বার ডাকা হয়েছিল। একবারও ওরা আসেননি।


একবার আমাকে ৯ ঘন্টা জেরা করা হয়েছিল। কারণ আমার সত্যের ওপরে বিশ্বাস রয়েছে। কংগ্রেসের তা নেই।


এমন সেবককে কি চাইবেন যিনি ঘরের সামগ্রী চুরি করে!


পড়শিদের কাছে ঘরের মর্যাদা হানি করে।


এমন সেবক কি চাইবেন যিনি বিনা নোটিশে এক মাস ছুটিতে চলে যাবে।


বুঝে নিন কেমন সেবক চাইবেন। দেশবাসীই ঠিক করুন কেমন সেবক চাইবেন।