নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলায় সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



 


ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ ও পকসো আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির আদালত। 



২০১৭ সালের ৪ জুন উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের মনখি গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন ১৭ বছর বয়সী ও কিশোরী। ২১ জুন অউরিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে স্থানীয় বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার ও তার ভাই অতুল। এর পর দফায় দফায় গণধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। ঘটনায় ওই বছর ২২ জুন কুলদীপ সেঙ্গার-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। দায়ের হয় মহিলাকে অপহরণ করে বিয়ে করতে বাধ্য করার ধারায় মামলা।


মামলা দায়েরের পর থেকেই সেঙ্গার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা থেকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে। ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল নির্যাতিতার বাবাকে মারধর করে কুলদীপের ভাই অতুল। এর পরই পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তরুণী। পর দিনই পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার। অভিযোগ, ১১ এপ্রিল নির্যাতিতার গোটা পরিবারকে নিরাপত্তার দেওয়ার নাম করে হোটেলে বন্দি করে রাখে পুলিস। পরদিনই গ্রেফতার হয় কুলদীপ ও অতুল সেঙ্গার। তাদের গ্রেফতার করে সিবিআই।


মামলা চলাকালীন চলতি বছরের ২৮ জুলাই উত্তর প্রদেশের রায় বেরিলিতে ট্রাকে সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নির্যাতিতা। ওই দুর্ঘটনায় নির্যাতিতা তরুণী প্রাণে বাঁচলেও তাঁর ২ আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। ১ অগাস্ট কুলদীপ সেঙ্গারকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। ২ অগাস্ট উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের ৫টি মামলা লখনউ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে সুপ্রিম কোর্ট। 


সেই মামলায় অবশেষে সুবিচার পেলেন নির্যাতিতা। আগামী মঙ্গলবার এই মামলায় সাজা শোনাবে নিম্ন আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে সর্বোচ্চ জাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার দাবি রাখবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতার আইনজীবী।