নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশ উপ-নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর এবার দলের এক বিধায়কের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে একটি ব্যঙ্গাত্মক কবিতাও পোস্ট করেছেন শ্যামপ্রকাশ নামে ওই বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ''দিনের পর দিন যেভাবে রাজ্যে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে তার ফলেই এই ভরাডুবি।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর মোদী ম্যাজিককে কাজে লাগিয়ে উত্তরপ্রদেশে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন গোরক্ষপুর মঠের প্রধান পুরোহিত যোগী আদিত্যনাথ। ক্ষমতায় আসার পরই বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। বিতর্কেও জড়ান একাধিকবার। তারপরও দলের হাইকমান্ডের রক্তচক্ষু দেখতে হয়নি তাঁকে।



২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত সেভাবে প্রশ্নের মুখে না পড়লেও, জয়ের পর ১৪ই মার্চ প্রথম ভরাডুবির সম্মূখীন হন যোগী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর লোকসভা কেন্দ্র গোরক্ষপুরে উপ-নির্বাচন হয়। সেখানে বড় ধরনের হারের সম্মুখীন হতে হয় যোগীকে। শুধু নিজের কেন্দ্র গোরক্ষপুরই নয়, উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যর লোকসভা আসন ফুলপুরেও হারতে হয় বিজেপিকে। এই দু'টি আসনে হারের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ'র ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয় যোগীকে।



নতুন উদ্যোমে রাজ্যের মানুষকে বিজেপিমুখী করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে কৈরানা লোকসভা কেন্দ্র ও নুরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনই ছিল যোগীর কাছে অ্যাসিড টেস্ট। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যোগী এবারও জয়ের আশা নিয়েই ময়দানে নামেন। কিন্তু, তাতেও তেমন লাভ হল না। দুই আসনই শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া হল যোগীর। এরপরই নিজের দলের বিধায়কের সমালোচনার মুখে পড়তে হল যোগীকে। ফেসবুকে পোস্ট করা কবিতায় শ্যামপ্রকাশ লিখেছেন, ''অত্যন্ত অপশাসন ও দুর্নীতি উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারকে লাইনচ্যূত করেছে। মোদীর ম্যাজিকে রাজ্যপাট পেলেও, মানুষের মন বুঝতে পারলেন না যোগী।'' তিনি আরও লিখেছেন, ''দেশের মানুষকে বোকা বানানো এতো সহজ নয়। তাই আগামী দিনে বুঝে কাজ করতে হবে।''


আরও পড়ুন- নির্বাচনে হার, মোদী-শাহ'র রণকৌশল নিয়ে এবার প্রশ্ন দলের অন্দরেই!