নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি নেতার শেষযাত্রায় সামিল হলেন উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ স্মৃতি ইরানি। নিহত সুরেন্দ্র সিংয়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতেও দেখা গেল প্রথম মোদী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে মোদীর কাছে হাজির জগন রেড্ডি


শনিবার গভীর রাতে সুরেন্দ্র সিং নামে ওই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তিনি আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁর হত্যার খবরে আমেঠি ছুটে গিয়েছেন স্মৃতি।



আমেঠি গান্ধী পরিবারের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল এতদিন। সেখান থেকে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী সাংসদ হয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে পর পর তিনবার আমেঠিতে জিতেছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু এবার সেখানে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।


সেই ফল প্রকাশের পর এই খুনের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে রাজনৈতিক রং লেগেছে। কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই খুন কী ভোটের ফল, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ের জন্য চাপ জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে, তুলকালাম হোটেল


পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাড়ির বাইরে ঘুমিয়েছিলেন সুরেন্দ্র। সেই সময় তাঁর উপর আততায়ীরা হামলা চালায়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


এদিকে এই ঘটনার তদন্তে তত্পর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি ১২ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।



এদিকে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর ইতিমধ্যেই সাতজনকে আটক করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।