BJP national executive meet: `বাংলায় মজবুত হয়েছে সংগঠন, বেড়েছে ভোট`, বৈঠকে বঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ নাড্ডার
বিজেপির এই রবিবাসরীয় বৈঠকে বাংলার পরিস্থিতি আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডের পর এই প্রথম বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হল দিল্লিতে৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রতিনিধিরাও৷ সূত্রের খবর ছিল, বাংলায় নির্বাচন ও উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়েও আলোচনা হতে পারে৷ এদিনে বৈঠক থেকে বঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নাড্ডা৷
রাজধানীতে বিজেপির এই রবিবাসরীয় বৈঠকে বাংলার পরিস্থিতি আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্বোধনী ভাষণে বাংলার জনগণকে ধন্যবাদ জানান জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়, "একসময় পশ্চিমবঙ্গে ৩ শতাংশের কাছাকাছি ছিল বিজেপির ভোট। একুশের নির্বাচনে সেখানে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। ইতিহাসে প্রথম। রাজনীতির ছাত্ররাও মানতে বাধ্য হবেন এই উত্থান। বাংলায় আমাদের সংগঠন মজবুত হয়েছে। যদিও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। ৫৭ জন খুন হয়েছেন। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আশ্রয় শিবিরে অনেকে রয়েছে।"
আরও পড়ুন, Free Ration: ফ্রি রেশন ৬ মাস বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সৌগত রায়ের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিশানা করে নাড্ডা বলেন, "কোভিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা হচ্ছে না বাংলা থেকে। মোদীজি টিকা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলার মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এটা অমানুষিকতার দৃষ্টান্ত।"
এই বৈঠকে পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি নজর রাখা হয়েছে বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও৷ ভোটের পারফরম্যান্স নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে বলে সূত্রের খবর৷ এও বলা হয়েছে বাংলায় যেসব বিজেপি প্রার্থীরা হিংসার শিকার হয়েছে, পদ্ম শিবির তাদের সকলের পাশে দাঁড়াবে এবং তারা যাতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে সঠিক বিচার পায়, সেই চেষ্টা করা হবে দলের তরফে।
এই বৈঠকে প্রায় ৩৪২ জন সদস্য যোগদান করেছেন। ডিজিটালি রেজিস্ট্রেশন করেছেন সকলেই। দলের বর্ষীয়ান নেতা দুই নেতা এল কে আদবানি এবং মুরলী মনোহর যোশী বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। এদিন বৈঠকের শুরুতে দেশে ১০০ কোটি ডোজ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বরমাল্যে বরণ করে নেওয়া হয়। এও বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে দেশ আজ কোভিড লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে। প্রধানমন্ত্রীর গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে লকডাউনে উপকৃত হয়েছে বহু পরিবার৷ সেই তথ্যও জানান হয় বৈঠকে। এছাড়াও বিজেপির এই বৈঠকে সিএএ এবং কৃষক সমস্যা ও আন্দোলন নিয়েও আলোচনা হয়৷