পাকিস্তান আনন্দ পায় এমন ভাষায় কথা বলছে বিরোধীরা, তোপ অমিতের
দেশের সেনাকে নিয়ে বিরোধীদের ‘রাজনীতি’ না করার হুঁশিয়ারি তো দিলেনই, তার সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ ও স্পষ্ট করলেন, এ দেশে থেকে ভারতের ভাষাতেই তাঁদের কথা বলতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন-মোদী, মোদী-নির্বাচন – ঘুরে ফেরে এই দুই শব্দই শনিবার বারংবার উচ্চারিত হল অমিত শাহের গলায়। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ‘বিজয় সংকল্প বাইক র্যালি’র অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অমিত শাহ বললেন, পাকিস্তান আনন্দ পায় এমন ভাষায় কথা বলছেন বিরোধীরা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলওয়ামা ঘটনার তদন্ত চাইছেন সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। এই পরিপ্রেক্ষিতে অমিতের তোপ, সেনাকে নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুন, লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের। আর ‘রাহুল বাবা’কে কটাক্ষ করে বুঝিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দিন, এ বারে ফের দিল্লির তখতে বসছেন নরেন্দ্র মোদীই।
আরও পড়ুন- ভোররাতে বড়সড় আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পুলওয়ামা, আতঙ্ক ফিরল এলাকায়
দেশের সেনাকে নিয়ে বিরোধীদের ‘রাজনীতি’ না করার হুঁশিয়ারি তো দিলেনই, তার সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ ও স্পষ্ট করলেন, এ দেশে থেকে ভারতের ভাষাতেই তাঁদের কথা বলতে হবে। পুলওয়ামা ঘটনার পর ভারত – পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। পাক মাটিতে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। পাল্টা নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে সেনার উপর হামলা চালায় পাকিস্তানও। এর পর পাকিস্তানের হেফাজতে বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান থাকায় দু’দেশের মধ্যে চাপানোতর আরও বাড়ে। গত কাল অভিন্দনকে নিয়ে কূটনৈতিক কৌশলে কতটা এগিয়ে থাকা যায়, তারই দৌড় দেখা গেল নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে। তবে, অভিনন্দনকে দেশে ফেরানোয় নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্বকেই তুলে ধরলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এখন আর পাকিস্তানের পাশে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। তা মোদীর বাজিমাতেই সম্ভব হয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন- রাতভর পাক সেনার টানা গোলাগুলি, পুঞ্চে নিহত ২ শিশু সহ একই পরিবারের ৩ জন
বাইক র্যালি অভিযান অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ফের মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী করা উচিত দেশবাসীর। তাঁর কথায়, গত ৫৫ বছর একটি পরিবারের শাসনকাল দেখেছেন। কংগ্রেসের জমানায় মুম্বই হামলা, সংসদে জঙ্গি হামলার মতো বড়সড় নাশকতা ঘটেছে। কিন্তু মুখের উপর জবাব দিতে দেখা যায়নি কংগ্রেস সরকারকে। তবে, বরাবরই বিপরীত পথে হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমিতের দাবি, উরি, পাঠানকোট কিংবা পুলওয়ামা ঘটনায় জবাব দিতে সময় নেননি নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তানে ঢুকে গুলির জবাব গুলিতেই দিয়েছে এই সরকার।
ফের কেন বিজেপিকে সরকারে আনবেন, তাও এ দিন বুঝিয়ে দেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর কথায়, শক্তিশালী অর্থনীতি, সুনিশ্চিত সুরক্ষা এবং পাকিস্তানকে মুখের উপর জবাব দিতেই নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত। বিরোধীদের মহাজোটকে ‘ঠগজোট’ বলে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, বিরোধীদের জোটে না আছে নেতা, না আছে নীতি এবং না আছে সীদ্ধান্ত। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছাই জোট করেছে বিরোধীরা।