নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে এক বছর আগেই বরখাস্ত করা হয়। গত দু’দিনে এ খবর সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে কুলদীপ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি জানান, ২০১৮ সালে এপ্রিলে তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে, সে সময় প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কুলদীপের বরখাস্তের নির্দেশ আগামী দিনেও জারি থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রবিবার, উন্নাও থেকে রায়বরেলী যাওয়ার পথে নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতারই দুই কাকিমা। তিনি এবং তাঁর আইনজীবী সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধেই। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, জেলে বসেই খুনের পরিকল্পনা করেন কুলদীপ। সোমবার, কুলদীপ  ও তাঁর ভাই মনোজ-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিস।


আরও পড়ুন- তিন তালাক বিলের বিরোধিতা করে ওয়াকআউট জেডিইউ-র, বিল পাশে আরও অক্সিজেন পেল কেন্দ্র


উন্নাও ঘটনায় যোগী সরকারের তুলোধনা শুরু করেছে বিরোধীরা। পূর্ব উত্তর প্রদেশে দায়িতপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা টুইটে লেখেন, বিজেপি আর কিসের জন্য অপেক্ষা করছে? বিধায়কের এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও বিজেপি কেন তাঁকে বরখাস্ত করছে না। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। উন্নাও ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, বিজেপির কটাক্ষ, দেশে যোগী সরকারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। উন্নাও বা সোনভদ্র ঘটনায় রাজনীতি করে সরকার বদনাম করা চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, বিজেপির দাবি, যে ট্রাকটি নির্যাতিতার গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল, ওই ট্রাকের মালিক সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারির।