নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভায় ESI বোর্ডের সদস্য নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিল বিজেপি। বিজেপির ভোটে প্রথমবার এই কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন দোলা সেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার রাজ্যসভায় ছিল ESI কমিটির সদস্য নির্বাচন। এতদিন এই পদে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সদস্যপদ নিয়োগ দস্তুর ছিল। আসনটি বরাদ্দ বিরোধীদের জন্য। এতদিন, ওই আসনে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ রাজ্যসভা সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মেয়াদ ফুরানোর পর সেটিতে নির্বাচন করানোর সংসদীয় কার্য মন্ত্রক।


 



এতদিন তাদের দখলে থাকায় আসনটির দাবিদার ছিল তৃণমূল। কিন্তু সংসদে বোঝাপড়া বাড়াতে আসনটি সিপিএমকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তাতেও ওই আসনে জয় নিশ্চিত ছিল না। সেজন্য দরকার ছিল কংগ্রেসের ভোট। কংগ্রেস আবার সিপিএমকে সমর্থন দিতে বেঁকে বসে। ফলে শেষ মুহূর্তে লড়াইয়ের ময়দানে নামে তৃণমূল।


তৃণমূল প্রার্থী হন দোলা সেন। কংগ্রেস দাঁড় করায় প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। সিপিএম প্রার্থী করে এলম আরম করিমকে। বুধবার ভোটাভুটির শেষে দেখা যায়, ৯০ ভোট পেয়ে জিতেছেন দোলা সেন। প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৪৬টি ভোট। সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৮টি ভোট। হিসাব বলছে, বিজেপির অন্তত ২০টি ভোট পেয়েছেন দোলা। 


বৃহস্পতিবার এই নিয়ে মুখ খোলেন মুকুল রায়। সব্যসাচী দত্তর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেন, 'দোলা সেনকে জেতানোর জন্য বিজেপিকে আবেদন জানিয়েছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' 


সন্ধে ছটার মধ্যে ফের ইস্তফা দিন, কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের


ওদিকে বিজেপির ভোট তৃণমূল পাওয়ায় ফের একবার দু'দলের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে বিজেপির কাছে বিকল্প ছিল না। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয়। সিপিএমের ক্ষেত্রেও তাদের একই অবস্থান। সেক্ষেত্রে বাকি রইল তৃণমূল... তবে ভোটদানে বিরত থাকতে পারত বিজেপি। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় আসন্ন ছিল। সেই সম্ভাবনা রুখতেই সরাসরি তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বিজেপি।