নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করল বিজেপি। উপত্যকায় সংঘর্ষ বিরতি প্রত্যাহারের পর দিনই সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে, অচিরেই উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বিজেপি নেতা রাম মাধব সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে বিজেপি। ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে দায়বদ্ধ তারা। কিন্তু, বর্তমানে সে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। সাংবাদিক তথা 'রাইজিং কাশ্মীর'-এর সম্পাদক সুজাত বুখারির হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে রাজ্যের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন রাম মাধব। তাঁর দাবি, রাজ্যের উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত এঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু, আইন-শৃহ্খলা রাজ্য তালিকাভুক্ত এবং তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ মেহবুবা সরকার। জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বড় শরিক পিডিপি, তাই এই দায় তাদের উপর চাপিয়েই জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাজ্যের জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহেরর করে সেই দায়িত্ব রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হল।



প্রসঙ্গত, রমজান মাসে উপত্যকায় অস্ত্র বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। রমজান মিটতে সোমবার (গতকাল) ফের নিরাপত্তাবাহিনী জম্ম-কাশ্মীরের পথে নামে। আর এতেই আপত্তি মেহবুবা মুফতির দলের।  কেন্দ্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক, এমনটাই চায় পিডিপি প্রধান মেহবুবা। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে দাড়ি না টানলে কেন্দ্র যে কোনও আলোচনাতেই আগ্রহী নয়, সেকথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয় দিল্লির তরফে। এরপরই সংঘাত চরমে ওঠে। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় পদ্ম শিবির।


উল্লেখ্য, ৮৯ আসন বিশিষ্ট জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ২০১৪ সালে ২৮ টি আসন পায় পিডিপি এবং বিজেপির ঝুলিতে আসে ২৫টি আসন। সংখ্যা গরিষ্ট দল হিসাবে পিডিপি উঠে এলেও ম্যাজক ফিগার (৪৫) থেকে অনেকটাই দূরে ছিল তারা। এরপরই নুন্যতম অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার গড়ে পিডিপি ও বিজেপি।