সাংসদের `পদসেবা` করে `চরণামৃত` পান বিজেপিকর্মীর!
রবিবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পা ধুইয়ে সেই `চরণামৃত` পান করতে দেখা গিয়েছে `নিবেদিন প্রাণ` বিজেপিকর্মী পবন সিংকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যন্ত গুণী বা প্রতিভাবান ব্যক্তিকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করার পরামর্শ দিতে গিয়ে কথায় বলে, "ওঁর (সংশ্লিষ্ট গুণী ব্যক্তির) পা ধোওয়া জল খাও"। কিন্তু, এ নেহাতই কথার কথা, আসলে সেই গুণীজনকে অনুসরণ করতে বা তাঁর থেকে অনুপ্রাণিত হতে বলা হয়। তবে, আক্ষরিক অর্থে যদি এ কথা বলা হয়, তাহলে! কি, ভাবতেই পারছেন না তো? কিন্তু, আপনি না ভাবতে পারলেও এমনটাই করে দেখিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের এক সাংসদ-অন্ত প্রাণ বিজেপি কর্মী। রবিবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পা ধুইয়ে সেই 'চরণামৃত' পান করতে দেখা গিয়েছে 'নিবেদিত প্রাণ' বিজেপিকর্মী পবন সিংকে।
গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এই ঘটনার কথা ছবি-সহ নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-এ ফলাও করে পোস্টও করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমি আজও নিজেকে দলের এক অতি ক্ষুদ্র কর্মী বলে মনে করি। এদিন হাজার হাজার লোকের সামনে দলের কর্মী পবন কুমার আমার পা ধুইয়ে দিয়েছেন। আমি কামনা করি এমন একটা দিন আসুক, যেদিন আমিও সাধারণ পার্টি কর্মীদের পা ধুইয়ে দিতে পারব"। ফেসবুক পোস্টে দলের 'নিচু তলার' কর্মীদের প্রতি সাংসদের এমন 'পাল্টা শ্রদ্ধা' প্রকাশ পেলেও, সমালোচনার ঝড় উঠেছে এই ঘটনায়। আরও পড়ুন- গোয়া সামলাবেন কে? মনোহরের অসুস্থতায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস
নিশিকান্ত দুবে অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুলে মহাভারতের কথাও টেনে এনেছেন। প্রথমত তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় তাঁর পদ যুগল ধুইয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে তিনি কী করতে পারেন? এরপরই তিনি বলেন, মহাভারতেও এমন 'শ্রীচরণ' ধুইয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ রয়েছে। সমালোচকরা অযথাই এতে 'রাজনৈতিক রং' দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সমালোচকদের চিন্তার শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন বলেও তিনি 'উপদেশ' দিয়েছেন।