নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে ওঠা বিতর্কে নতুন মাত্রা ‌যোগ হল। নাগরিকপঞ্জী নিয়ে মন্তব্য করায় এফআইআর করা হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বিজেপির ‌যুব শাখা ভারতীয় জনতা ‌যুব মোর্চার তরফে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই অভি‌যোগ করা হল আপার অসমের ডিব্রুগড়ের নাখারকাটিয়া থানায়। অভি‌যোগটি গুয়াহাটিতে পাঠানো হতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।


কেন অভি‌যোগ? মঙ্গলবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অসমের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্রেফ রাজনীতির স্বার্থে ৪০ লাখ মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভোটে জেতার জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে। একাত্তরের মার্চ প‌র্যন্ত ‌যারা এসেছেন তারা এদেশের নাগরিক। কিন্তু খ্রিষ্টান, মুসলিম, দলিত হলেই তাদের আলাদা করা হচ্ছে। নাম, পদবী ধরে ধরে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিজেপি দেশকে গৃহ‌যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে বলে অভি‌যোগ করেন মমতা। ওই গৃহ‌যুদ্ধ-তেই ঘোর আপত্তি বিজেপির ‌যুব শাখার।


অারও পড়ুন-সুখবর! এবছরই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ার ইঙ্গিত


ভারতীয় জনতা ‌যুব মোর্চার অভি‌যোগ, মমতা ওই ধরনের মন্তব্য করে পাশপাশি বসবাসকারী দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। গত জানুয়ারি মাসেও গুয়াহাটিতে মমতার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়। সেবার ওই এফআইআর করেন গুয়াহাটির কয়েকজন আইনজীবী। নাগরিকপঞ্জী নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর অভি‌যোগ তোলা হয় মমতার বিরুদ্ধে করা ওই এফআইআর-এ।


মঙ্গলবার মমতা আরও বলেন, ‌যদি বাঙালিরা বলে বিহারিদের থাকতে দেব না। দক্ষিণ ভারতের মানুষ ‌যদি বলেন উত্তর ভারতের লোকজনদের থাকতে দেব না। উত্তরভারতের লোক ‌যদি বলে দক্ষিণ ভারতের লোকেদের থাকা ‌যাবে না তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে? এই দেশে আমরা একসঙ্গে একই পরিবারের মতো বাস করি। দেখে অবাক হয়ে ‌যাচ্ছি, আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের লোকজনদের নাম নাগরিকপঞ্জীতে নেই! আর কি বলব! এরকম বহু মানুষের নাম ওই তালিকায় নেই।


আরও পড়ুন-মৌসুমী অক্ষরেখা-ঘূর্ণবর্তের জের, দিনভর টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের


নাগরিকপঞ্জী নিয়ে হওয়া সমস্যা মমতা আরও বলেন, ওখানে শুধু বাঙালি নয়, সংখ্যালঘু, বিহারি, হিন্দু সবাই সমস্যায় পড়েছেন। গতকাল ‌যে ৪০ লাখ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল তারা হঠাৎ আজ উদ্বাস্তু হয়ে গেল! কীভাবে হয় এসব!