`বিকাশ` থেকে ধর্মে পথভ্রষ্ট হয়েই দিল্লিতে হার, বলছে বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট
মোদী -শাহ-যোগী তারকা প্রচারের ছড়াছড়ি। তার পরেও মেলেনি কোনও হিসেব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রচারে ধর্ম ছিল, পাকিস্তান ছিল, CAA-NRC ছিল। সঙ্গে ছিল গুলি-কারেন্ট। তার পরেও ঝাড়ুঝড়ে কেন ওলটপালট হয়ে গেল রাজধানীর পদ্মবন? কেজরীবালের পাল্টা উন্নয়নের মডেল দিতে না পারাতেই মুখ ঘুরিয়েছেন ভোটাররা, বলছে বিজেপির অন্তর্তদন্ত। অমিত শাহ তো স্বীকার করেই নিয়েছেন,''দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো'র মতো মন্তব্য করা উচিত হয়নি। সম্ভবত তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।''
মোদী -শাহ-যোগী তারকা প্রচারের ছড়াছড়ি। তার পরেও মেলেনি কোনও হিসেব। তারপরও শাহিনবাগ নিয়ে নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় দিল্লি বিজেপি। মনোজ তিওয়ারি এখনও বলছেন, শাহিনবাগ নিয়ে বিজেপি কোনও ভুল মন্তব্য করেনি। তাহলে এমন হার কেন? শুক্রবার ৭০ জন প্রার্থী, দিল্লির সাংসদ ও প্রচার কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিজপি। সূত্রের খবর, হারের কাটাছেঁড়ায় উঠছে একটাই ইস্যু- উন্নয়ন। সূত্রের খবর বিজেপির অন্দরমহলের সমীক্ষা বলছে,
আম আদমি পার্টির পাল্টা কোনও উন্নয়নের মডেল ভোটারদের দিতে পারেনি বিজেপি।
এক তরফা জোর দেওয়া হয়েছে NRC-CAA-র মতো জাতীয় ইস্যুতে।
ভোট সমীকরণে দিল্লির নিজস্ব চরিত্রে নজর দেওয়া হয়নি।
২০১৪-তে দিল্লির ৭টি লোকসভা আসনে জিতেছিল বিজেপি।
কয়েক মাসের মাথায় ২০১৫-র বিধানসভা ভোটে পুরো উল্টো ছবি।
৬৭ টি আসন পায় আম আদমি দল।
এবারও প্রায় একই অঙ্কের হিসেব।
কিন্ত অঙ্কে কোথায় ভুল হল? বিজেপির অন্দরের খবর,
ভোট ভাগাভাগির অঙ্কেও ভুল করেছিল বিজেপি।
২০১৯-এ প্রায় ২২% ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস।
আশা ছিল এবারও বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে।
কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কও বিজেপিকে বাড়তি মাইলেজ দেবে বলে ভেবেছিলেন নেতারা।
তবে হিসাবই কাজে আসেনি। উল্টে শাহিনবাগ, জামিয়া নগরের ওখলায় ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছে আম আদমি পার্টি।
পূর্বাঞ্চলীয় ভোটের হিসেবও কাজে আসেনি।
সোজা হিসেবে, আম আদমি পার্টির বিজলি- পানির সুফলের দিকে তাকিয়েই ভোট দিয়েছে রাজধানী। দলের নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়েও ঢোক গিলেছেন অমিত শাহ। দলও বলছে এমন আর হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন,''নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার পর্যালোচনায় ভুল হয়েছে।''
আরও পড়ুন- মায়ের ভাষার উদযাপনে একুশের সীমান্তে রক্ত দেবে এপার-ওপার বাংলা